ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রাণের উচ্ছ্বাস

এম.এ আজিজ রাসেল :: উপরে নীল আকাশ, একদিকে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি, অপরপ্রান্ত থেকে ভেসে আসছে গানের সমধুর ধ্বনি। সাগরের ঢেউয়ের তালে তালে একের পর এক পরিবেশিত হচ্ছে গান, নৃত্যসহ নান্দনিক নানা পরিবেশনা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) বিকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি সৈকতের লাবণী পয়েন্টের জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক উৎসবে এমনই মনোমুগ্ধকর চিত্র ফুটে উঠে। হাজারো প্রাণের উচ্ছ্বাসে বর্ণিল হয়ে উঠে উৎসব প্রাঙ্গণ।

‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সারা দেশে বিস্তৃত পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটন শহর কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো ‘সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’-এর আয়োজন করা হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উৎসবের প্রথমদিনে সংগীত, নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং পারফরম্যান্স আর্টসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ শতাধিক শিল্পী অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে বেলুন উড়িয়ে দুই দিন ব্যাপী সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে দৃস্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে সমৃদ্ধি লাভ করেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনও। ‘পর্যটনকেন্দ্রিক একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর কক্সবাজার। শিল্প-সংস্কৃতির যে চর্চা আমরা করছি, সেটাকে আরো ব্যাপকভাবে প্রচার এবং প্রসারের জন্যই আমরা এই আয়োজনগুলো করছি। এখন যেহেতু পর্যটনের একটা মৌসুম, এই সময়টাতে কক্সবাজারে সব অঞ্চলের মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। তাই ওইখানে আমরা যদি আমাদের বিভিন্ন আঞ্চলিক যে সংস্কৃতিটা রয়েছে, সেটাকে তুলে ধরি, তাহলে পর্যটকদের কাছে বিনোদন এবং পরিচিতি দুটোই হবে। পর্যায়ক্রমে এই উৎসব দেশের সব জেলায় অনুষ্ঠিত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফুল আফসার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে সংস্কৃতি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বর্তমান সরকার সাংস্কৃতিক বান্ধব। আগের তুলনায় এই অঙ্গনের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে শিল্পীদের সম্মান ও কদর বেড়েছে। তারা এই দেশের শিল্পাঙ্গণের অহংকার। এই আয়োজন কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সচিব বদরুল আলম, ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আদিবুল ইসলাম আদিব।

শনিবার (২৫ জানুয়ারী) এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

পাঠকের মতামত: