কক্সবাজার প্রতিনিধি :: প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে অন্যান্য বছরের মতো আয়োজন ছিল না কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। তবু উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ঢোল বাজিয়ে পানিতে ভাসানো হয় প্রতিমা। বিসর্জনের সময় আনন্দের পাশাপাশি ভক্তদের মধ্যে বিষাদেরও ছাপ ছিল। ছিল বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম।
আজ সোমবার ছিল বিজয়া দশমী। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চে প্যান্ডেল তৈরী হলোও এবার বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। সৈকতের বালিয়াড়িতে হয়নি বিদায় অঞ্জলি প্রদান অনুষ্ঠান। তবু বেলা ৩ টা থেকে কক্সবাজার জেলা বিভিন্ন উপজেলা থেকে শুরু করে পাশ্ববর্তী বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে একে একে প্রতিমা বোঝাই ট্রাক আসতে থাকে। আর ওই সব প্রতিমা ধর্মীয় রীতি মেনে সৈকতে দেয়া হয় বিসর্জন।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত কুমার দাশ জানান, শতাধিক মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিজয়া সম্মেলন না হলেও বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য বছর সৈকত প্রতিমার বিদায় অঞ্জলি প্রদান করা হলেও এবার ট্রাকের তোলার আগে মন্ডপে ওই অঞ্জলি শেষ করা হয়। ফলে ট্রাক থেকে সোজা সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, মহাষষ্ঠীতে দোলায় চড়ে এসেছিলেন দুর্গা। আর গজে (হাতি) চড়ে কৈলাশে ফিরছেন দুর্গা। কক্সবাজার জেলায় এবারে প্রতিমা পূজা হয়েছে ১৪৪ টি মন্ডপে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ৭ দফা নির্দেশনা এবং বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের পুজোকালীন সময়ে করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনামূলক ২৬ দফা মেনে এবারের দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাঁকখালী নদী, মাতামুহুরী নদী সহ বিভিন্ন স্থানে এক যোগে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।
পাঠকের মতামত: