কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
টানা ভারী বর্ষণ ও বৈরী আবহাওয়ার পর স্বস্তি মিলেছে কক্সবাজারের জেলে পল্লীতে। দীর্ঘদিন ধরে যারা সাগরে মৎস্য শিকারে যেতে পারেনি তাদের মনেও এখন আশার আলো। গত কয়েকদিন ধরে সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। মৌসুম শুরু হওয়ার পরও ইলিশের বাজারে যে আকাল চলছিল তা থেকে বেরিয়ে এসে এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে এসেছে স্বাদের ইলিশ।
কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়কে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (ফিশারীঘাট) গিয়ে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে , গত চার দিন ধরে শহরের ফিশারী ঘাটের মোকামে ট্রলার ভর্তি করে একের পর এক আসছে রুপালি ইলিশের ট্রলার। ইলিশের মোকামে গিয়ে আরো দেখা যায় কেউ ট্রলার থেকে ইলিশ নামাচ্ছেন, কেউ আড়তের সামনে ইলিশের স্তুপ দিচ্ছেন। আরেক দল শ্রমিক ইলিশ ওজন দেয়ার কাজে ব্যস্ত। বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা পাইকারদের সঙ্গেও দরদামে ব্যস্ত আড়তদার ও তাদের লোকজন। এমন কয়েকজন আড়তদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে-টানা বেশে কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে সাগরে মৎস্য শিকারে যেতে না পেরে যে লোকসান আর হতাশার মুখে তাদের পড়তে হয়েছিল তা থেকে তারা কিছুটা হলেও বেরিয়ে এসে বর্তমানে লাভের মুখ দেখার পাশাপাশি মুখ থেকে হতাশার চাপ দূরীভূত করছেন। তারা জানান, যেভাবে ইলিশ আসতে শুরু করেছে তাতে আগামীতে ইলিশের চড়া মূল্য কমতে বাধ্য।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার তরুন ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন আবু জানান, বিশেষ করে গত ৩/৪ দিন ধরে ইলিশ বেশী ধরা পড়ছে। দৈনিক প্রতিটি ট্রলারে প্রায় ২০ হাজারের মত ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে কাসেম নামের এক পাইকার জানান-এখন নদীর ইলিশ কম। সাগর থেকে বেশি ইলিশ আসছে। গত চার দিন ধরে ইলিশ আসছে। আমরা আগের চেয়ে কম মূল্যে ইলিশ মাছ ক্রয় করে বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করতে পারছি।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) ড: মঈন উদ্দীন আহমদ বলেন-বর্তমানে ইলিশ মৌসুম হওয়ায় সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়ছে। কিন্তু মাছ শিকার পদ্ধতি মান্ধাতার আমলের হওয়ায় জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়ছে কম। আধুনিক ও উন্নত সরঞ্জামাদি ব্যবহার এবং জেলেদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যাপারে প্রত্যেক ট্রলার মালিকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: