এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা গডফাদারের নেতৃত্বে ৫ সাংবাদিককে হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলার বাদি ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম লিপু ও সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোটার সুজা উদ্দিন রুবেলকে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ঘটেছে। এঘটনায় সাংবাদিক রুবেল বাদী হয়ে ২৬ মে রাতে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। দায়েরকৃত মামলায় ইয়াবা কারবারী ভুট্টোসহ ৮জনকে আসামী করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে আদালত ভবনের পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে থেকে দুই সাংবাদিককে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা ধাওয়া করে অপহৃত দু’ সাংবাদিককে উদ্ধার করে এবং ঘটনা জড়িত ২ জনকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম লিপু জানিয়েছেন, ‘টেকনাফে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আদালতে ধায্য দিন ছিলো আজ। এ মামলার খোঁজখবর নিয়ে বেলা ৩ টার দিকে আমি ও সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোটার সুজা উদ্দিন রুবেল অফিস আসার পথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলার আসামী নুরুল হক ভূট্টোর নেতৃত্বে ৭/৮ জন দুবৃত্ত হঠাৎ কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে আমাদেরকে টেনে হেচড়ে অপহরণের পর হত্যার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাস তুলেন।
উপস্থিত লোকজন ঘটনাটি আচঁ করতে পেরে ওই মাইক্রোবাসটি ঘেরাও করে আমরা দুই সাংবাদিককে উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িত দুই দুর্বৃত্তকে আটকের পর থানায় সোপদ করে। অবস্থা বেগতির দেখে ইয়াবাকারবারী ভুট্টো দ্রুত মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলো, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা পাচারকারী সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান এবং টেকনাফে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার প্রধান আসামী নুরুল হক ভূট্টোর ভাগিনা টেকনাফের নাজিরপাড়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ বেলাল (৩০) ও একই এলাকার আরশাদ আলীর ছেলে নুরুজ্জামান প্রকাশ জামাল মাস্টার (৪৫)। এই দুই জনের বিরুদ্ধেও ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
লিপু আরো জানান, সাংবাদিক রুবেল বাদী হয়ে এ ব্যাপারে ইয়াবা গডফাদার নুরুল হক ভূট্টোকে প্রধান আসামী করে ধৃতদের নাম উল্লেখ পূবক আরো অজ্ঞাতনামা ৫ জনের বিরুদ্ধে ২৬ মে রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচাজ ( ওসি) আসলাম হোসেন আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেন।
মামলার বাদী সুজা উদ্দিন রুবেল জানান, গত ১৩ মে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে টেকনাফের নাজিরপাড়া গেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান নুরুল হক ভূট্টোর নের্তৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমাকে, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম লিপু এবং আমাদের ক্যামেরাম্যানসহ ৫ জন সাংবাদিককে কুপিয়ে আহত করে। এসময় লুট করা হয় তাদের ক্যামেরা, ল্যাপটপ সহ অন্যান্য মালামাল।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে বুধবার ১৯ জন আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলার অভিযোগ পত্র দাখিল করে।
পাঠকের মতামত: