অনলাইন ডেস্ক ::
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান মিয়ানমারেই খুঁজতে হবে। ঢাকা সফরের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, চলতি মাসের শুরুতে মিয়ানমার সফর করেছেন। সেখানে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইনদের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা ছাড়াও দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সূচি’র সঙ্গে তার তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া (ন্যাশনালিটি ভেরিফিকেশন সিস্টেম) চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে জানিয়ে জাতিসংঘের দূত বলেন, অত্যন্ত জটিল রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নাগরিকত্বের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমার সরকার এক্ষেত্রে সফল হলে অনেক সমস্যা সমাধানের দ্বার খুলে যাবে। জাতিসংঘ এ প্রক্রিয়ায় টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে বলে জানান ঢাকা সফররত জাতিসংঘের এই দূত। তিনি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ৩০ বছর ধরে ৩/৪ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক আশ্রয় দিয়ে চলেছে। জনবহুল এই দেশটিতে নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘের এ দূত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে আমার বিস্তৃত কথাবার্তা হয়েছে। তারা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের চেয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত। আমরাও তাই মনে করি। এজন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দুই ভিশনারী লিডার শেখ হাসিনা ও অং সান সূচি’র প্রতি তাদের ‘ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার’ অভিন্ন বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর আগে মিয়ানমারের রাখাইনে একটি সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ দূত বলেন, তা না হলে পুনর্বাসন টেকসই হবে না। কক্সবাজার থেকে নোয়খালীর ঠেঙারচরে রোহিঙ্গাদের আপাতত সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার এ নিয়ে অল্প কথা হয়েছে। আমি মনে করি, এক্ষেত্রেও রোহিঙ্গাদের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত। তারা যদি মনে করে, সেখানে উন্নত পরিবেশ পাবে তখনই তারা স্বেচ্ছায় যাবে। কোনো অবস্থাতেই তাদের জোর করা সমীচীন হবে না।
পাঠকের মতামত: