নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের দূর্গম রামুর গর্জনিয়া বাজারে অতিরিক্ত টোল (হাছিল) আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইজারাদারদের বেপরোয়া আচরণ ও অতিরিক্ত টোল আদায়ে বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে অসন্তেুাষ বিরাজ করছে। ফলে যে কোন মূহুর্তে মারামারি -হানাহানির ঘটনা ঘটতে পারে ক্রেতা ও ভোক্তাদের মাঝে। জানা যায়,রামুর পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তর এই গর্জনিয়া বাজার বসে প্রতি বৃহস্পতিবার ও সোমবার । এছাড়াও প্রতিদিন নিয়মিত বেচা কেনাও হাটের দিনের আদলে। গত সোমবার দুপুরে এ বাজারটি ঘুরে দেখা গেছে কোন স্থানে টোল আদায়ের মূল্য তালিকার টাঙানো হয়নি। ব্যবসায়ী ও কৃষকরাও একই দাবি করেন তালিকার বিষয়ে। ফলে সাব-ইজারাদাররা যে যার যার মত করে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে প্রকাশ্যে। গরু ব্যবসার সাথে জড়িতদের একাধিক ব্যবসায়ী এ প্রতিবেদককে জানান, সাপ্তাহিক ২ দিন অনেক বড় গরুর বাজার বসে এখানে। এখানে ১টি গরু বিক্রি হলে ১ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রেতাকে হাসিল দিতে হয় । আর বিনা কারণে ক্রেতার কাছ থেকেও নেওয়া হয় ৩ থেকে ৫ শত টাকা বা তার অধিক।
অপরদিকে বিগত সময়ে তরি-তরকারী,শুটকি বাজার,কলা বাজার,পান বাজার, মরিচ বাজার,মুরগি ও ছাগল বাজারসহ সব বাজারেই হাছিল আদায়ে মনগড়া পদ্ধতি প্রচলন করে ইজারাদার।
কচ্ছপিয়ার তরকারী বিক্রেতা ইউনুছ ও মাছ ব্যবসায়ী হামিদসহ অনেকেই জানান, গত ২০১৮ সালে বাজার ইজারার মূল্য ছিল ৭২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। যেটি ছিলো ২০১৭ সালের চেয়ে ৪ গুণ বেশী টাকা। অর্থাৎ ২০১৭ সালের এ বাজারটির ইজারা মূল্য ছিল ২২ লক্ষ টাকা। ২০১৯ সালে ইজারাদাররা সিন্ডিকেট ও কম্প্রমাইজ করে এ ডাক কমিয়ে এনে ৪৪ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকায় নামিয়ে আনে। সে হিসেবে বাজারের ইজারার ডাক কমে যায় অনেকটা অর্ধেক। কিন্ত হাছিল নেওয়ার বেলায় আগের মতোই বেশী বেশী আদায় করছে সাব ইজারাদাররা। যার কারণে বাজারে দিন দিন ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম যেমন কমছে ঠিক তেমনি ভাবে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে দিনদিন। এ ভাবে চলতে থাকলে গর্জনিয়া বাজারে যে কোন সময়ে বড় ধরনের মারামারি বা সংঘর্ষ ঘটার আশংকা করছেন ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ব্যবসায়ী শাহ মাহাম্মদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, আগের তুলনায় এবছর হাছিল কম নেওয়া কথা শুনে ছিলাম কিন্তু এখনও তারা আগের মত ৩ গুন বেশি হাছিল নিচ্ছে ইজারাদার। স্থানীয় সচেতন মহল বাজারে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিংসহ বাজারে সকল প্রকার পণ্যের হাছিলের মূল্য তালিকা টাঙানোর দাবি তুলেন।
অপর দিকে বাজার ইজারাদার শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, কোন কোন জিনিস থেকে বেশি আবার কোন কোন জিনিস থেকে কম টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। এ ব্যাপারে কথা বলতে রামু উপজেলার নির্বাহী অফিসার লুৎফুর রহমানের কাছ থেকে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশ:
২০১৯-০৫-১৬ ০৮:৪৩:০৭
আপডেট:২০১৯-০৫-১৬ ০৮:৪৩:০৭
- চকরিয়ায় তিনদিনের কৃষি মেলায় কন্দাল ফসল উৎপাদনে কৃষকেরা উদ্ভুদ্ধ
- হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে রোগীর ভোগান্তি
- পেকুয়ায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের সন্ধান মেলেনি
- চকরিয়ায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে হবে -জামায়াত
- পেকুয়ায় ট্রাক চাপায় মুদি দোকানী নিহত
- খুটাখালীতে সকড় সংস্কারের পূর্বেই ইটগুলো গায়েব নীরব
- তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ সম্ভব” –ইউএনও চকরিয়া
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা হত্যা: মূল হোতা নাছির উদ্দিন ও সহযোগী ডাকাত এনাম গ্রেফতার
- এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এর ২৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সাথে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ শিক্ষকদের মতবিনিময়
- নিপীড়িত গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য জামায়াত কর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে -আবদুল্লাহ আল ফারুক
- এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এর ২৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র
- খুটাখালীতে সকড় সংস্কারের পূর্বেই ইটগুলো গায়েব নীরব
- চকরিয়ায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে হবে -জামায়াত
- পেকুয়ায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের সন্ধান মেলেনি
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা হত্যা: মূল হোতা নাছির উদ্দিন ও সহযোগী ডাকাত এনাম গ্রেফতার
- তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ সম্ভব” –ইউএনও চকরিয়া
- হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে রোগীর ভোগান্তি
- পেকুয়ায় ট্রাক চাপায় মুদি দোকানী নিহত
- চকরিয়ায় তিনদিনের কৃষি মেলায় কন্দাল ফসল উৎপাদনে কৃষকেরা উদ্ভুদ্ধ
পাঠকের মতামত: