খালেদ হোসেন টাপু, রামু :::
কক্সবাজারের রামুতে পবিত্র ঈদ উল আযহা যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ধর্মীয় এই বৃহৎ উৎসব আয়োজনে মেতেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ত্যাগের মহিমায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ঈদের নামাজ আদায়ের পর আল্লাহ্র পথে পশু কোরবানি দেন।
প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নবী হযরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হন। কিন্তু আল্লাহপাকের অশেষ মেহেরবানিতে ইসমাইলের (আ.) পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হযরত ইব্রাহিমের (আ.) ত্যাগের মহিমা স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতি বছরের জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু কোরবানি করে থাকেন।
প্রতি বছরের মতো এবছরও শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রামু কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ আলাদা আলাদাভাবে ১১টি ইউনিয়নে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেয়। রামু কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জামাতে অংশ নেন রামু কক্সবাজার সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, রামু পশ্চিম মেরংলোয়া জামে মসজিদের জামাতে অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, উপজেলা জামে মসজিদে জামাতে অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহজাহান আলি ও রামু থানা মসজিদে জামাতে অংশ নেন রামু থানার ওসি একেএম লিয়াকত আলী। রামু কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রধান জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন খতিব মাওলানা হাফেজ শামসুল হক।
পরে ভ্রাতৃত্ববোধে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
জামাতে রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে রামুর ৩ শতাধিক মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র ঈদ উল আযহা’য় মুসল্লিরা প্রার্থনারত হয়। এরপর পশু কোরবানি দেয়া হয়। সকাল থেকে ঈদের জামাত পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মিললেও আল্লাহ পাকের অসীম রহমতে সকাল ১১ টার দিকে বৃষ্টি থেমে যায়।
এদিকে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এছাড়াও ঈদ শুভেচ্ছায় অংশ নেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলি, চাকমারকুল চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, রামু ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, রামু প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদ আহমদ বিএ, আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার ফরিদ আহমদ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, গর্জনিয়া চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, খুনিয়াপালং চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, কাউয়ারখোপ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, ঈদগড় চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ফিরোজ আহমদ ভুট্টো, জোয়ারিয়ানালা চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স, রাজারকুল চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, রশিদনগর চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, কচ্ছপিয়া চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টো।
পাঠকের মতামত: