কক্সবাজার প্রতিনিধি :::
কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভের দু‘পাশে বিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে কয়েক‘শ বসতঘর। আর এই সড়কের পশ্চিমেই এখনো অন্তত দু-তিন‘শ অবৈধ বসতি রয়েছে। ঝাউবাগান এবং বেড়িবাঁধের উপরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব বসতঘরের বেশীর ভাগই কিন্তু রোহিঙ্গা নাগরিক। স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী চক্র রোহিঙ্গাদের দিয়েই মেরিন ড্রাইভের দু‘পাশে জমি দখতে নিতে কৌশলে বসতি গড়ে তুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে,স্থানীয় প্রভাবশালীরা মেরিন ড্রাইভের কিনারায় অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সরকারী জমি দখলসহ বিভিন্ন অপারধ কর্মকান্ডে ব্যবহার করে থাকেন। এসব রোহিঙ্গাদের কারণে উপকুলের ঝাউবন দিন দিন নিধন হচ্ছে। মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমে গড়ে উঠা এসব অবৈধ বসতঘরের কারণে পর্যটকদের সড়ক থেকে সাগরের সৌন্দর্য উপভোগে সমস্যা দেখা দিবে। মেরিন ড্রাইভ দিয়ে পর্যটকরা যেন সরাসরি বঙ্গোসাগরের জলরাশি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে পারে সে জন্যই সড়কের পশ্চিম পাশের্^র অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করা খুবই জরুরী। এই সড়কের সৌন্দর্য্য রক্ষায় পশ্চিমের ঝাউবনের সব অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করা পর্যটন সংশিষ্টদের দীর্ঘদিনের দাবি।
এদিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বসতঘর উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সওজ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত ২৬এপ্রিল মেরিন ড্রাইভারের দু‘পাশে সরকারী জমি ছেড়ে দিতে মাইকিং করা হয়। এসময় বসতঘর ২/৩দিনের মধ্যে নিজ নিজ দায়িত্বে ভেঙ্গে অন্যত্রে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। না গেলে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এদিকে টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুরের মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমে ঝাউবনে বসবাসকারী নারী মনজুরা বেগম জানান,আমরা দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে এখানে বসবাস করছি। মহিলা বন পাহারাদল (সিপিজি)র সভাপতি এই নারী দাবী করেন,হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশেই মূলত ঝাউবন রক্ষায় আমরা কয়েকটি পরিবার এখানে বসবাস করে আসছি। মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমে বাহারছড়ার জাহাজপুরাতে অবৈধভাবে বসবাসকারী যুবক রহিমুল্লাহ,একরাম ও আহমদ জানান,বসতঘর ভেঙ্গে অন্যত্রে চলে যেতে ইতিমধ্যে মাইকিং করা হয়েছে। অবৈধ বসবাসকারী এটা ঠিক,বর্ষাকালে আমরা যাবো কোথায়? তবে তারা জানিয়েছেন,পর্যটন শিল্পের বিকাশে মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য্য রক্ষায় সরকারী নির্দেশনার বাইরে নেই। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক জানান,মেরিন ড্রাইভের পাশের্^ অবৈধভাবে গড়ে উঠা সব বসতিই উচ্ছেদ করা হবে। আজ এবং কালকের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে। কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া জানান,মেরিন ড্রাইভের দু‘পাশেই অবৈধ বসতি রয়েছে। এই সব বসতি উচ্ছেদে সমন্বিত নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। দু‘য়েকদিনের মধ্যেই মেরিন ড্রাইভের দু‘পাশের্^র অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
পাঠকের মতামত: