ইমাম খাইর, কক্সবাজার :: কক্সবাজার শহরসহ জেলাব্যাপী হঠাৎ দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হয়েছে। শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে দমকা হাওয়া শুরু হয়।
প্রায় ৪০ মিনিটের মতো স্থায়ী দমকা হাওয়ায় ছোটখাটো অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। উল্টে গেছে বসতবাড়ির ছাউনি।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী, লাইট হাউজ, সমিতিপাড়া, আলীর জাঁহাল, টেকপাড়া, বড়বাজার, রুমালিয়ারছরা, বিজিবি ক্যাম্প, ঘোনারপাড়া, সিকদারপাড়াসহ অনেক এলাকার বাসিন্দা তাদের ছোটখাটো দোকানঘর, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মুঠোফোনে সিবিএনকে জানিয়েছে।
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী, গর্জনতলী, নয়াপাড়া, সদরের ইসলামপুরের খানঘোনা, নাপিতখালী বটতলী, নতুন অফিস, ভারুয়াখালী, চৌফলদন্ডি, খুরুশকুল, রামুর ঈদগড়, গর্জনিয়াসহ অনেক গ্রামীণ জনপদে হঠাৎ সৃষ্ট দমকা হাওয়া আঘাত হেনেছে বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছে। অনেকের জমা করা ও মাঠে পড়ে থাকা উৎপাদিত লবণ নষ্ট হয়ে গেছে।
রামু উপজেলার ঈদগড়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউসুফ জানিয়েছেন, ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার মরহুম হাজ্বী আমির হামজার বসতভিটায় বজ্রপাত হয়। এতে অনেক গাছ চিড়ে, পুড়ে গেছে। তবে, হতাহতের ঘটনা ঘটে নি।
কক্সবাজার পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের আলীর জাঁহাল এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন সিকদার জানিয়েছেন, হঠাৎ দমকা হওয়ার কারণে কিছু গরীব অসহায় মানুষের ঘরের টিন ও ছনের চাল উড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাধ্যমতো সহযোগিতায় তারা বেরিয়ে পড়েছেন।
শহরের বাহারছরার বাসিন্দা ও জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান মুফিজ জানিয়েছেন, হঠাৎ এমন দমকা হাওয়া জীবন তিনি দেখেন নি।
করোনার আতংকের এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেদের মাঝে জরুরীভিত্তিতে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
সংবাদকর্মী আহসান সুমন জানিয়েছেন, করোনায় এমনিতে কক্সবাজারের মানুষদের ঘরে ঢুকানো যাচ্ছিলো না। আর মাত্র ১০ মিনিটের দমকা হাওয়া বৃষ্টিতে সবাই ঘরে ঢুকতে বাধ্য হলো। সবই আল্লাহর খেলা।
এদিকে, কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আবু মহসিন কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে জানিয়েছেন, দমকা হাওয়ার সর্বোচ্চ ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ৪০ কিলোমিটার। যা অল্প সময় স্থায়িত্ব ছিল। ঘন্টায় ২৫-৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত স্থায়িত্ব ছিল ১০ মিনিট।
তিনি জানান, শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে।
পাঠকের মতামত: