মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে সে অবস্থিত আরও ৪৯টি ইয়াবা তৈরির কারখানার তালিকা দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মিয়ানমারের চিফ অপ পুলিশ জেনারেল স্টাফদের মধ্যে সীমান্ত সম্মেলনে এ তালিকা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় বিজিবি সদর দফতরে সীমান্ত সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা এর আগেও মিয়ানমারকে ইয়াবা কারখানার একটি তালিকা দিয়েছিলাম। তখন তারা কারখানাগুলোর কোনও সন্ধান পায়নি। এবারও ৪৯টি কারখানার তালিকা দেওয়া হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ করেছে তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবে। তবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।’
সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- সীমান্তে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে সহযোগিতা, সীমান্ত এলাকায় শান্তি নষ্ট করতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকা, সীমান্ত বিধি লঙ্ঘন না করা, অনিচ্ছাকৃতভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা কোনও নাগরিকের কাছে অবৈধ দ্রব্য না পাওয়া গেলে তার কাছে থাকা জিনিসপত্রসহ তাকে অপর পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা, মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত, উভয় সরকার অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তাদের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না, সীমান্তে শূন্য লাইনের পাশে পুতে রাখা আইইডি ও মাইন যৌথ তৎপরতায় অপসরণ করা।
মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির চিফ অব পুলিশ স্টাফ ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মেওসেও উইনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেন।
পাঠকের মতামত: