সরকার ঘোষিত মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হবার সাথে সাথে জেলায় কয়েক চুনোপুটি মাদক কারবারি ধরা পড়লে ও রাঘব বোয়ালরা রয়েছে অধরা। কোন কোন প্রভাবশালী মাদক কারবারী দূর্নীতিবাজ প্রশাসনের পরামর্শে স্বেচ্চায় কারাবরন করছে আবার কেউ লাপাত্তা রয়েছে। লাপাত্তায় ও প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিবাজ জড়িত রয়েছে দাবী সচেতন মহলের।
কক্সবাজার জেলায় বিশেষ করে টেকনাফ-উখিয়ায় হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া ৯৫ ভাগ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি গা ঢাকা দিয়েছে। উপস্থিত যারা আছেন তারা ও বিচারিক কাজ সারছেন আড়াল থেকে। ফলে পৌরসভা ও ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে বিচারিক কাজে নেমে এসেছে অচলাবস্থা ।
জানা যায়, দেশ ও জাতীকে মাদক আগ্রাসন থেকে রক্ষার দৃড প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও র্্যাব প্রধান মাদক আগ্রাসনকে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন। সাথে সাথে আতংকিত হয়ে পড়ে মাদক কারবারিরাও। দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে
সরকারের সুনাম । কিন্তু সরকার ঘোষিত মাদক বিরোধী ক্রস ফায়ারাভিযানে সম্প্রতি টেকনাফের জনপ্রিয় কাউন্সিলর একরাম কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হলে অভিযুক্তদের পাশাপাশি গা ঢাকা দিয়েছে
নিরপরাধী জনপ্রতিনিধিরা ও।
সরেজমিনে, টেকনাফ ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোং আবু হারেছ, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাং হোছন ছাড়া, মেয়র ছাড়া সকল কাউন্সিলর মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা রয়েছেন। অনেক খুঁজাখুঁজির পর পাওয়া যায়, টেকনাফের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র কোহিনুর আক্তারকে। তিনি বলেন, “টেকনাফ পৌরসভার ৩ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর একেরামকে ক্রসফায়ারে হত্যার পর আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, “একেরাম সৎ ছিল, মাদকের সাথে কোন সম্পৃক্ততা না থাকার পর ও বাঁচতে পারেনি। তাই আমরা সবাই এখন ভিত সন্ত্রস্থ। কারন,
প্রশাসনের হাতে এখন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের একাধীক ইয়াবা কারবারির তালিকা। যে তালিকায় স্বচ্চতার অভাব ও অপ রাজনৈতিক ব্যক্তির প্রভাব রয়েছে।” ইয়াবা কারবারিদের তালিকা প্রস্তুতে স্বচ্চতা আনা প্রয়োজন বলে দাবী করেছেন প্যানেল মেয়র কহিনুর।
একই অবস্থা চলছে ইউনিয়ন পরিষদে ও। উখিয়া- টেকনাফের দুই উপজেলায়, চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী এবং আব্দুল গফুর ছাড়া সমস্থ চেয়ারম্যান লা পাত্তা। ইউপি সদস্যের বেলায় ও একই অবস্থা। প্রতিটি ইউনিয়নে ২/১ জন ছাড়া বাকি সদস্যদের হদিস নাই।
এ ব্যাপারে কথা বলেন, জেলার বয়োজৈষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা ও উখিয়া টেকনাফের সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, আসল মাদকের ডন কে, কার পরিবার মাদক ব্যবসা করে সবই সরকারের লোকজন জানেন কিন্তু তাদের ধরছে না প্রশাসন। তিনি বলেন, অপরাধিদের দ্বারা প্রভাবিত বর্তমান মাদক কারবারির তালিকা। তিনি বলেন,
মাদক কারবারির তালিকায় স্বচ্চতা আনা প্রয়োজন, প্রস্তুতকৃত তালিকায় কালোহাতের ইশারা থাকার ফল ইতিমধ্যেই ভোগ করেছেন টেকনাফের জনপ্রিয় কাউন্সিলর একরামের
মত সজ্জনের পরিবার। নিরপেক্ষ ও স্বচ্চ তালিকা পুন:প্রস্তুতের আহ্বান জানিয়ে অভিযান জোরদারের ও দাবী জানান।
পাঠকের মতামত: