ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ধাপের কাজ শেষ

MATAকক্সবাজার  প্রতিনিধি :::

মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়ার্ট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করা গেলে ২০২২ সালে শেষ করা সম্ভব। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না পাশাপাশি জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের বিদ্যুৎ যোগানে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। বিশ্লেষকরা বলছেন, সঠিক সময়ে যাতে মান সম্পন্ন টেকসই কাজ হয় সেদিকেই নজর দেয়া উচিত।

প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে জাপানের হিটাচিনাকা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ক্ষতিকর কার্বন পরিশোধনের জন্য আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় এখানে।

ভৌগলিক দৃষ্টিকোণ থেকে বঙ্গোপসাগর থেকে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে কুহেলিয়া নদীর তীরেই ৭ হাজার ৬শ ৫৬ একর জমিতে মাতারবাড়িতে জাপানের সহায়তায় প্রায় একই প্রযুক্তির সমন্বয়ে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণ, নদীর চ্যানেল ড্রেজিং, প্রশাসনিক ভবন নির্মাণসহ প্রথম ধাপের কাজ প্রায় শেষ। এখন মূল প্রকল্পের জাপানের সুমিটোমো ও মারুবিনি করপোরেশনের দেয়া ২টি দরপত্রের আর্থিক মূল্যায়নের কাজ চলছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী  প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রচণ্ড গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। আমরা আশা করছি সময় মত পাওয়ার প্ল্যান্ট চলে আসবে। বিশেষ করে যে চ্যানেলটা হচ্ছে এখানে যে পোর্ট হচ্ছে সব কিছু সময়মত এগোচ্ছে।’

২০১৪ সালে পাস হওয়া এ প্রকল্প ৩৬ হাজার কোটি টাকার মধ্যে জাইকা দেবে ২৯ হাজার কোটি টাকা আর বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে ৫ হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থায় টেকসই প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমাদের যেটি প্রত্যাশা থাকবে যেহেতু জাপানের সুনাম রয়েছে সারা বিশ্বে তাদের প্রকল্প সুন্দর ও সঠিক ভাবে করার সেক্ষেত্রে সময় বেশি লাগলেও মান বজায় থাকবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ২ হাজার ৪শ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দ দেয়া হতে পারে ১৮শ ৩৬ কোটি টাকা।

সরকারের বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম এই মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এখানে কাজ চলছে পুরোদমে। এর থেকে যে বিদ্যুৎ আসবে তা শুধু জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে না চট্টগ্রামের আশেপাশে যে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে তাতেও ব্যবহার করা হবে।

পাঠকের মতামত: