চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পরিবেশ আইন লঙ্গন করে মাতামুহুরী নদী থেকে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনকালে উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে একটি মেশিন ও বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করেছে। তবে ওইসময় আদালতের অভিযান টের পেয়ে বালু উত্তোলনে জড়িতরা পালিয়ে যায়। সোমবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.মাহাবুব-উল করিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অংশ নেন চিরিঙ্গা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদ, চকরিয়া থানার এসআই আশরাফুল ইসলামসহ পুলিশের একটিদল।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নদীর পয়েন্টে বছর ধরে এভাবে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে দিব্যি ব্যবসা করে আসছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান সাকের উল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র। এভাবে বালু উত্তোলনের কারনে ওই এলাকার অন্তত দুই শতাধিক বসতবাড়ি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে বালু উত্তোলন এলাকায় ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য প্রতিরক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। এ অবস্থার কারনে এলাকার লোকজন নতুন করে ভাঙ্গনের কবলে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি মো.মাহাবুব উল করিম বলেন, অভিযানের সময় বালু উত্তোলনে জড়িতরা পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে একটি মেশিন ও বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত এসব মালামাল উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। তিনি বলেন, কেউ মালিকানা দাবি না করলে এসব মালামাল নিলাম দেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: