উৎসবমূখর পরিবেশে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উদযাপিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। শনিবার (৮অক্টোবর) মহাসপ্তমীর দিনে মন্ডপে মন্ডপে ছিল পূজার্থী ও নানান শ্রেণি পেশার মানুষের উপচে পড়া ভিড়। পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ মহাঅষ্টমী। একই সঙ্গে দুর্গাপূজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কুমারী পূজাও আজ অনুষ্ঠিত হবে। শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন আজ।
উপোস থেকে দেবীর সন্ধ্যাপূজা আর কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ চিন্তা করে তাকে দেবী মনে পূজা করবে ভক্তরা। কক্সবাজার জেলার বেশ কয়েকটি ম-পে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সব নারীতে মাতৃত্বরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার প্রধান লক্ষ্য। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৩ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীকে পূজার উল্লেখ রয়েছে। ব্রাহ্মণ অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকেও পূজা করার বিধান রয়েছে। বয়সভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন।
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ অভি চক্র ভর্তি বলেন, গতকাল শারদীয় দুর্গাপূজায় মহাসপ্তমীতে সকালে দেবী মহামায়ার বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে ভক্তরা পূজা করেন। দেবীর পায়ে ভক্তিসহকারে পুষ্পাঞ্জলি দেন ভক্তরা। পূজা শেষে হাজার হাজার পূজার্থী মায়ের চরণে অঞ্জলী প্রদান করেন এবং মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন।
তিনি জানান, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ছাড়াও শারদীয় দুর্গোৎসবের একটি প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে ম-পে ম-পে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করা। গতকাল সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার ভক্ত পূজাম-পে গিয়ে মা দুর্গাকে প্রণাম জানিয়ে তাঁর কৃপা প্রর্থনা করেছেন। আজ মহাঅষ্টমীর দিন পূজা ম-প গুলোতে ভিড় আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন এই ব্রাহ্মণ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা বলেন-দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে পুরো কক্সবাজারে ২৮৬টি ম-পে ব্যাপক আলোক ও সাজসজ্জা করা হয়েছে। এখন প্রতিটি ম-পে চলছে উৎসব। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে স্ব স্ব ম-পে বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন-পূজাকে নিরাপদ উৎসবে পরিণত করতে পুলিশ অনেক আগে থেকেই দায়িত্ব পালন করে আসছে। পূজায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
পাঠকের মতামত: