মাহাবুবুর রহমান :: কক্সবাজারে বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে মানুষ। সাধারণ মানুষের অভিযোগ মিটারে বর্তমান রিডিং এর চেয়ে তিন গুন বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে। আর কর্তৃপক্ষ বলছে, মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে আগের মাসের চেয়ে ১০% থেকে ১৫% বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিলের অতিরিক্ত বিলের কথা এড়িয়ে গিয়ে উল্টো মিটার রিডারকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষকেউ দোষারূপ করলেন নির্বাহী প্রকৌশলী। গত ২ দিন ধরে শহরের বিভিন্ন নাগরিকরা ফোন করে এবং মোবাইলে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের কপি দিয়ে অভিযোগ করেন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল শোধ করতে এখন ঋণ নিতে হবে।
আলাপকালে শহরের বৌদ্ধ মন্দির রোড়ের বাসিন্দা এড. মোহাম্মদ ইউনুচ বলেন, আমার প্রতি মাসে বিল আসে ১০০০ থেকে সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা। কিন্তু চলতি মাসে বিল দিয়েছে ৭ হাজার টাকা। আমার আগের কোন বকেয়া নেই। লকডাউনেও আমি বিকাশে বিল দিয়েছি।
একই এলাকার মংছেন রাখাইন বলেন, আমার বাড়িতে প্রতি মাসে বিল আসে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। এখন বিল দিয়েছে ৪৭০০ টাকা। এখন আমি এত টাকা কোথায় পাব? আমি সামান্য ব্যবসা করি। ৩ মাস ধরে দোকানেও কোন আয় নেই। এখন মনে হচ্ছে করো কাছ থেকে ধার দিয়ে বিল শোধ করতে হবে।
বাহারছড়ার জসিমউদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল অতিরিক্ত এসেছে। এটা নিয়ে প্রত্যেকে ক্ষুব্ধ। আমি যতুটুক জানি জুন মাসে প্রায় সময় বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দেয় কিন্তু এত বেশি না। আর উনারা বলছে পরের মাসে ঠিক করে দেবে। কিন্তু এখন ইউনিট হিসাবে আমার কাছ থেকে প্রায় ৯ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। পরের মাসে যখন ইউনিট কমে যাবে তখন বিলও কমতে তাহলেতো এই মাসে আমি অতিরিক্ত টাকা দিলাম সেটা কোথায় যাবে। আর সব চেয়ে বড় কথা সবাই এক সমান না। আমার পাশেই ২ জন ইতিমধ্যে বিদ্যূৎ বিল পরিশোধের জন্য টাকা ধার চাইতে এসেছে। এখন মানুষের হাতে টাকা নেই। এই মুহুর্তে এতটাকা মানুষ পাবে কোথায়?
এ ব্যাপারে কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গনি বলেন, মূলত লকডাউন চলাকালিন অনেকে মিটার রিডারদের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। তাই মিটার দেখতে পারেনি। তাছাড়া মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ১০ থেকে ১৫% বিল বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত হওয়ার কোন কারন নেই। তবুও হয়ে থাকলে সেটা আমরা ঠিক করে দেব অথবা পরের মাসে ঠিক হয়ে যাবে।
পাঠকের মতামত: