এম আবুহেনা সাগর, নিজস্ব প্রতিনিধি, ঈদগাঁও ::
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজার বর্তমানে ভাসমান ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে বললেই চলে। নির্দিষ্ট বাজারের বাহিরে ডিসি সড়কসহ একাধিক স্থানে বিভিন্ন ব্যস্তবহুল স্থানে সকাল -সন্ধ্যা ভাসমান বাজার বসে। ভুমি অফিস থেকে বাস ষ্টেশন পর্যন্ত সকাল এগারটার পর থেকে রাস্তার উভয় পাশের ফুটপাতের কারনে জন ও যান চলাচল অনেকটা কঠিন সাধ্য হয়ে পড়ে। শুধু কি ফুটপাত ? না, ফুটপাতের সাথে রাস্তার ও একটা বিশাল অংশ গায়েব হয়ে যায় মাছ, মাংস -তরকারী ব্যবসায়ীদের সাজানো ভাসমান ঢালা-ভ্যানে। তবে সচেতন মহলের মতে, রাস্তার পাশের দোকানী ফুটপাত জুড়ে মালামাল রাখেন। যাতে করে চলাফেরায় চরম ভাবে ব্যাঘাত ঘটে। বাজারের চলমান উচ্ছেদ কার্যক্রমের একটা পর্যায়ে এ সকল দোকানের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেয়া এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়ে পড়ে। ঈদগড় রোড়ের মাথা থেকে বিপরীত পাশ মহাসড়কের ব্রীজ পর্যন্ত ফুটপাথে মাছ, মাংস, তরকারীর বাজার এবং ঈদগাহ কেজি স্কুলের সামনে ফুটপাথ জুড়ে প্রতিদিন ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত ভাসমান হকারের ভ্যান বাজার বসে। বাজার ব্যবসায়ীদের মতে, ঈদগাঁও বাজারে যএতএ স্থানে এসব ফুটপাত জনস্বার্থে দখলমুক্ত করা জরুরী। বাজারের নবনির্মিত শাপলা চত্বরে ভ্যানে সাজানো বাজার বসে প্রায়শ। দুরদুরান্ত থেকে আসা একাধিক পথচারীর মতে, বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে কাঁচা বাজার করতে পারি। জিনিসপত্রও ফ্রেশ পাওয়া যায়। এতে বাজার করার ঝামেলা থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাই বলে জানান তারা। তবে চলাচলে দূর্ভোগ বেড়েই যাচ্ছে। আবার টিএন্ডটি অফিস সড়ক ও পুলিশ ক্যাম্পের পাশেও রয়েছে বাজার, আছে চাউল বাজার সড়কের মোড়েও। এভাবে যে যার মতো করে ইচ্ছে মাফিক যেখানে সেখানে ব্যবসা বানিজ্য করে যেতে দেখা যায়। বাজার কতৃপক্ষের নেই কোন মাথা ব্যাথা। পাশাপাশি বাজার কর্তৃপক্ষ হারাচ্ছে রাজস্ব। ডিসি সড়কে প্রতিদিন বাড়ছে অসহনীয় যানজট। বাজার ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের শৃংখলার স্বার্থে যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব ভাসমান হকার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উদ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ ও কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: