এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় জন্নাতুল ফেরদৌস (১৮) নামের এক নববধূকে ঘরে তুলতে যৌতুক দাবি পরবর্তী শাররীক নির্যাতন চালানোর ঘটেছে। বিয়ের সময় নগদ একলাখ টাকা যৌতুক নেয়ার পর ১৪দিন সংসার করে এখন স্বামী ওই নববধুকে ঘরে তুলতে নানাভাবে তালবাহানা শুরু করেছে। স্বামী আতিকুর রহমান প্রকাশ মুহিবুল্লাহকে এ কাজে তাঁর মা মনোয়ারা বেগমসহ পরিবার সদস্যরা নানাভাবে প্ররোচনা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন জন্নাতুল ফেরদৌসের পরিবার।
এ ঘটনায় আইনী সহায়তা চেয়ে নির্যাতিত গৃহবধু চকরিয়া উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের সিকান্দরপাড়া গ্রামের নুরন্নবীর মেয়ে জন্নাতুল ফেরদৌস বাদি হয়ে গত ৮ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটিতে স্বামী সিকান্দরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ( বর্তমানে আলীকদম সেনানিবাসের পাশে) বসবাসরত আতিকুর রহমান প্রকাশ মুহিবুল্লাহ ও তাঁর মা মনোয়ারা বেগমকে বিবাদি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী জন্নাতুল ফেরদৌস উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানান, স্থানীয় ঘটক জকরিয়ার মাধ্যমে কণে পছন্দ করতে আতিকুর রহমান প্রকাশ মুহিবুল্লাহ তাঁর বোনের সহযোগিতায় মা মনোয়ারা বেগমকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে। আমার বাড়িতে আপ্যয়ন শেষে তাঁরা (মা-ছেলে-বোন) আমাকে কণে পছন্দ করে বিয়ের কথাবার্তা চুড়ান্ত করে। কথা মতো বিয়ের খরচ বাবত আমার পরিবার থেকে নগদ এক লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে গত চলতিবছরের ১০ অক্টোবর রেজি: কাবিননামা ও হলফনামামুলে আতিকুর রহমান প্রকাশ মুহিবুল্লাহর সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়েতে স্বামী আতিকুর রহমানকে নগদ এক লাখ টাকা দেয়ার পাশাপাশি আমার পরিবারের আরো ৫০ হাজার টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ হয়েছে। দুইপক্ষের কথা মতো নির্ধারিত সময়ে আমাকে বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্বান্তও হয়।
ভুক্তভোগী জন্নাতুল ফেরদৌস জানান, বিয়ের পর স্বামী আতিকুর রহমান প্রকাশ মুহিবুল্লাহ আমার বাপের বাড়িতে ১৪দিন অবস্থান করে সুখের সংসার করে। এরপর স্বামী আলীকদম কর্মস্থলে চলে গেলেও আর আসেনা। কারন জানতে তাঁর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে উল্টো আমার কাছ থেকে বিয়ের বাবত আরো এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা না দিলে বিয়ে ভেঙ্গে ফেলবে, এমনকি বিয়ের কাবিননামা বাতিল করবে এ ধরণের কথাবার্তা বলে।
জন্নাতুল ফেরদৌস জানান, সর্বশেষ গত ২৬ অক্টোবর সকাল আনুমানিক দশটার দিকে এক নম্বর বিবাদি স্বামী আতিকুর রহমান প্রকাশ মহিবুল্লাহ আমার বাপের বাড়িতে আবারও আমার কাছ থেকে একলাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে আমি অপারগতা জানালে চুলের মুঠি ধরে আমাকে মারধর করে।
ভুক্তভোগী জন্নাতুল ফেরদৌস জানান, মারধরের পর আমার বাড়িতে রক্ষিত বিয়ের হলফনামার মুলকপি ও আমার কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায় স্বামী আতিকুর রহমান। চলে যাওয়ার সময় আরো একলাখ টাকা যৌতুক না পর্যন্ত আমার সহিত সংসার করবে না মর্মে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করে হুমকি দেন স্বামী আতিক। #
পাঠকের মতামত: