মিজবাউল হক, চকরিয়া ::
শতশত মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের কইন্যারকুম বাধটি। গত দুইদিনের ভারিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে অধিক ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে কইন্যারকুম বাধটি। রবিবার সন্ধ্যা থেকে বিএমচর ইউনিয়নের শতশত মানুষ ঢলের পানি থেকে রক্ষার জন্য বালির বস্তা দিয়ে রক্ষার চেষ্ঠা করছেন।
বিএমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত কয়েকদিনের ভারিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানি মাতামুহুরী নদীর বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলার ১৮ইউনিয়নের মধ্যে ৭-৮টি ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে বন্যার পানি ডুকে পড়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইউনিয়নের গুলোর মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আভ্যন্তরীণ সড়ক গুলো ডুবে থাকায় যানচলাচল করতে পারছে না। অনেকের ঘর-বাড়িতে ঢলের ডুকে পড়েছে। অনেকের বাড়িতে চুলা ডুবে থাকায় রান্না বান্নার কাজ করতে পারছে না। সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে তার ইউনিয়নের কইন্যারকুম বাধটি। গত বন্যায় কইন্যারকুম বাধটি ছিড়ে যায়। লন্ডবন্ড হয়ে য়ায়। তিনি আরও বলেন, কইন্যারকুম মেরামতের জন্য স্থানীয় সাংসদ মৌলভী ইলিয়াছের পক্ষ থেকে আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ইতোমধ্যে বরাদ্দের অর্থ দিয়ে কইন্যারকুম মেরামতের কাজ চলছে। প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু গত কয়েকদিনের ভারিবর্ষণ ও উজানের পানিতে বাধটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এলাকার শতশত মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। সেখানে মাটি ও বালির বস্তা দিয়ে রক্ষার চেষ্ঠা করছেন বলে তিনি জানান।
লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার জানান, তার ইউনিয়নে বেশিরভাগ গ্রামে বন্যার পানি ডুকে পড়েছে। ছিকলঘাট থেকে জালিয়াপড়া পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোন মুহুর্তে মাতামুহুরী নদীর পানির তোড়ে আঘাত হানতে পারে। নদীর পানি বাড়ছে। স্থানীয় মানুষ চরম আতঙ্ক রাতে যাপন করছেন বলে জানান তিনি।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, তার ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে ঢুবে রয়েছে। আভ্যন্তরীণ সড়ক গুলোতে ডুবে থাকায় যানচলাচল করতে পারছে না। গ্রামের প্রায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের মানুষ গবাদি পশু নিয়ে উচু স্থানে চলে গেছে।
মানিকপুর এলাকার কিউকের মসজিদটি অনেকটা নিরাপদে রয়েছেন। মসজিদের পেছনে ব্লক থাকায় বন্যার পানি সহজেই আাত হানতে পারবে না বলে তিনি জানান।
ফাশিয়াখালী ইউনিনের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানান, তার ইউনিয়নের মানুষ সবচেয়ে ঝুকির মধ্যে আছে ১নম্বর বাধটি নিয়ে। ছিড়ে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসিরা। তাছাড়া বাধটি রক্ষার জন্য মরণপন চেষ্ঠা করা হচ্ছে। নদীর স্রোত উত্তর দিকে সরানো হয়েছে। গণি সিকদার পাড়া পয়েন্টে স্পার দেওয়া হয়েছে। মন্দির এলাকা বড় ধরণের স্পার দিয়ে শতশত বালির বস্তা ফেলানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: