মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::
বান্দরবানের বাইশারীতে সাদা সোনা হিসেবে পরিচিত প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও এ রাবারের কদর বর্তমানে অনেকটাই কমে গেছে। বিদেশ থেকে রাবার আমদানির কারণে ক্রমাগত লোকসান গুনতে হচ্ছে স্থানীয় রাবার চাষীদের। এর উপর যুক্ত হয়েছে পরিবহণকালীন বিভিন্ন বিভাগের চাদাঁবাজি। অর্থকরী এ খাতকে বাঁচানোর কোন তৎপরতা আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে না। তাই অনতিবিলম্বে কাঁচা রাবার থেকে দ্বৈত কর প্রত্যাহার, চাষী ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির অবসানে কার্যকরী পদক্ষেপ, বাগানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার, কৃষি পণ্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করে রাবার শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন রাবার বাগান মালিকরা। শনিবার কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে এসব কথা বলেন হতাশাগ্রস্থ রাবার বাগান মালিকরা।
বান্দরবান রাবার বাগান মালিক কল্যান সমিতি (রেজি নং- ২৪৫/২০১০) এর সহ-সভাপতি ও নাজমা খাতুন রাবার প্লানটেশনের মালিক আরিফ হাসনাইনের সভাপতিত্বে বাইশারীসহ আশপাশ এলাকার শতাধিক রাবার বাগান মালিক ও প্রতিনিধিরা এ অনুষ্ঠানে মিলিত হন।
ইঞ্জিনিয়ার জিএম ফারুক খাঁন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজল, পুলিশের লামা সার্কেল অফিসার এএসপি আল মাহমুদ শাকিল, বাংলাদেশ রাবার বাগান মালিক সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ ভুলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ সিরাজুল রহমান সজল, আইন ও শালিস বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম, অপরাজিতা রাবার বাগান মালিক চৌধুরী হুমায়ুন কবির, আরিফ এন্টারপ্রাইজ রাবার বাগান মালিক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাবারকে এক সময় সাদা সোনা বলা হতো। আকাশ ছোঁয়া দামের কারণ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা বাইশারীতে হাজার হাজার একর রাবার বাগান গড়ে তোলে লাভবান হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ রাবারের দরপতনে সেই সাদা সোনা এখন রাবার মালিকদের কাছে গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাগান মালিকরা এতটাই হতাশ যে, বাগান থেকে রাবার গাছ কেটে বিকল্প চিন্তা করছে। তবে তারপরও হাল ছাড়েনি রাবার বাগান মালিকরা।
সম্প্রতি বান্দরবান রাবার বাগান মালিক কল্যান সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পদস্থদের সাথে একাধিক যোগাযোগের মাধ্যমে রাবার বাগানের সেই প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরে দেওয়ার দাবী জানান।
পাঠকের মতামত: