ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

বাঁকখালী নদী থেকে রাতের আঁধারে বালু তুলছে একটি চক্র

bakkবিশেষ প্রতিবেদক :

প্রমত্তা বাঁকখালী নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ও অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বালু উত্তোলনকারী চক্রটি এলাকায় প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাসিন দলের নাম দিয়ে এ জগন্যতম অপরাধ কাজ করে যাচ্ছেন। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটস্থ গুরুত্বপূর্ণ বাড়ি ও পার্শ্বোক্ত বিভিন্ন স্থাপনা। এতে করে আতংকের মধ্যে পড়ে গেছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

গত কয়েকদিন ধরে পৌরসভাধীন কস্তুরাঘাট সিনেমাহলের সোজা রাস্তার পাশের পেশকারপাড়া সামনে ড্রেজার মেশিন দিয়ে এসব বালি উত্তোলণ শুরু করা হয়। সম্প্রতি বিকালে একদল সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে গেলে তা সরেজমিন সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের স্থান থেকে অভিযুক্ত পেশকারপাড়া কালুর সাথে মোবাইলে কথা হয়। তিনি অবৈধভাবে বালু তোলার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, কিছুদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা হয়েছে। কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে বাধা দেয়ার পর থেকে বালু তোলা বন্ধ রাখা হয়েছে। ঐ ড্রেজার মেশিন কেন নিয়ে যাওয়া হয়নি সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দ্রুত নিয়ে যাব। কিন্তু তার আশপাশ এলাকার একাধিক লোকজন বলেন, কোস্টগার্ড বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে তারা রাতে বালু উত্তোলন করছে।

সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজার শহরের পৌরসভাধীন কস্তুরাঘাট এর পুর্ব পার্শ্বে বাঁকখালী নদীতে বড় ধরনের ড্রেজার মেশিন স্থাপন করা হয়। এই ড্রেজার মেশিন দিয়েই নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে রাত-দিন বালু অন্যত্র পাচারও করা হচ্ছে। আবার ভারী যানবাহন দিয়ে বালু নিয়ে যাওয়ায় ঐ কাঁচা সড়কটির স্থায়িত্ব নষ্ট হওয়া ছাড়াও চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসময় মানবাধিকার কমিশনের একজন কর্মকর্তাও পরিদর্শনে যাই। দেখা গেছে, ক্ষমতাসিন দলের কতিপয় ব্যক্তি মিলে বালু উত্তোলনের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে গত কয়েকদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে। কিন্তু প্রশাসন রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এলাকাবাসী জানান, সরকারের বিনা অনুমতিতে জনবসতি এলাকায় এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও বালু সিন্ডিকেট আইনের কোন তোয়াক্কা না করেই ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে।

তাদের কারনে এসব স্থানে চলতি বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় পাড় ধ্বসে পড়ে শতশত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ার পাশাপাশি প্রাণহানীসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের সাহায্যে বালি উত্তোলণ ইতিমধ্যে বন্ধের পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

পাঠকের মতামত: