চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে প্রসুতি বেবি আক্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালের অযোগ্য, অব্যস্থাপনা ও অনবিজ্ঞতা চিকিৎসার কারণে এক প্রসূতির মা’ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রসূতি মা’য়ের একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান নরমালভাবে ডেলিভারি করার সময় মৃত্যু ঘটলেও আরো একটি ছেলে সন্তান পেটে থাকার অজুহাত দেখিয়ে পাঁচ মিনিটের পর মেজর অপারেশন দিয়ে দেয় ঐ প্রসূতি মা’কে উক্ত হাসপাতালের ডাক্তার আব্দুল মন্নান। অপারেশনের পর দেখে যে পেটে কোন বাচ্চা নেই।
এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগীর আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে ঐ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক নিজের ভুল বুঝতে পেরে গাঁ ঢাকা দেয়। প্রসূতি মা’য়ের অবস্থা বেগতি দেখে তাকে দ্রুত চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ লঙ্কা কান্ড ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ নভেম্বর রাতে ওই হাসপাতালে।
অপরদিকে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জির পাড়ার ছৈয়দ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রী বেবি আক্তার প্রস্রাব-বেদনা বেড়ে যাওয়ায় ১ নভেম্বর রাতে তার স্ত্রী’র সুষ্ঠু ডেলিভারির জন্য পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলা বদরখালী বাজারস্থ জেনারেল ভর্তি করেন। ভর্তির কিছুক্ষণ পর নরমালভাবে এক ছেলে সন্তান মৃত্যু অবস্থায় জন্ম হয়। মৃত সন্তান জন্মের পাঁচ মিনিট পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে জানান, পেটে আরও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তা জন্মের জন্য মেজর অপারেশন দিতে হবে। এতে ছৈয়দ মিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান, ইতিপূর্বে কয়েকবার আল্ট্রানোসগ্রাফি করা হয়েছে। তাতে এক ছেলে সন্তান ছাড়া আর কোন সন্তান নেই বলে সাব জানিয়ে দেন কর্মরত ডাক্তারকে। কিন্তু নাচোঁড় বান্দা ডাক্তার তাকে ধমক দিয়ে বলেন, সিজার দিয়ে উক্ত ছেলে সন্তান ডেলিভারি করা না হলে প্রসূতির মৃত্যুর আশংকা রয়েছে।
ডাক্তারের জোরালো প্রতিবাদের অসহায়ত্ব হয়ে উক্ত প্রসূতিকে সিজার করান। সিজারের পর কোন ছেলে সন্তান থাকাত দূরের কথা রোগির অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। এমনকি প্রসূতি মা’ অপারেশন থিয়েটর রুমে চটপট করছিল। রোগির অবস্থা দেখে ছৈয়দ মিয়া হাউমাউ করে কান্নাকাটি করলে আশে-পাশের লোকজন ঝড়ো হয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ডাক্তার গাঁ ঢাকা দেয়। এতে অসহায় হয়ে রোগির অবস্থা বেগতি দেখে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উন্নতি চিকিৎসার জন্য দ্রুত গতিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রোগির অবস্থা আশংকা জনক। এদিকে এ বিষয়ে বিজ্ঞ এক ডাক্তার থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডেলিভারির পরপর কোন ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা মেজর অপারেশ দেয়া কোন অবস্থাতে কাম্য নয়।
অপরদিকে উক্ত হাসপাতাল স্থাপিত হওয়ার পর থেকে ভুল চিকিৎসায় বহু রোগির সাথে হাতাহাতির ঘটনাসহ থানা ও আদলতে কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী রোগিদের অভিযোগ সামান্য জ্বর নিয়ে ওই হাসপাতালে গেলে ৭/৮টি পরীক্ষাসহ দশ-বার প্রকারের ঔষুধ লিখে দেন। ভুক্তভোগীরা আরো জানান, ডাঃ মাসুমা আক্তার চৌধুরীর প্যাড ব্যবহার একজন নার্স (সেবিকা) দিয়ে রোগিদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে উক্ত হাসপাতালে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
বদরখালী জেনারেরেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইছার এব্যপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এাব্যপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরু উদ্দিন মোঃ শিবলী নোমান বলেন, এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি, তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
পাঠকের মতামত: