নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী জেটিঘাটে কুলিং কর্ণার করার নামে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আব্বাস উদ্দিন নামের একজনের বিরুদ্ধে গভীর রাতে রমরমা মাদকের কারবার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে দোকান মালিক চকরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
চকরিয়া থানায় জমা দেওয়া অভিযোগে ভাড়াটিয়া আব্বাস উদ্দিন, ছেলে রোকন উদ্দিন ও সহযোগী দেলোয়ার ভান্ডারীসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে দোকান মালিক বদরখালী ৩ নং ওয়ার্ডের শহরিয়াপাড়ার মৃত মোহাম্মদ ইছাহাকের ছেলে বদিউল আলম মানিক বলেন, দুইবছর আগে কুলিং কর্ণার করার জন্য বদরখালী ফেরিঘাট এলাকায় তার একটি দোকান ভাড়া দেন একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পুর্ব পুকুরিয়াপাড়ার মৃত বদিউল আলমের ছেলে আব্বাস উদ্দিনকে।
কিন্তু বিগত কয়েকমাস ধরে ভাড়াটিয়া আব্বাস উদ্দিন গোপনে দোকানে কুলিং কর্ণারের আড়ালে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি শুরু করেছেন। বিশেষ করে রাতের বেলায় দোকানের ভেতরে রমরমা মাদকের আসর বসানো হচ্ছে।
বিষয়টি জানতে পেরে দোকান মালিক বদিউল আলম মানিক দোকানটি ছেড়ে দিতে বলেন। এরপরও কোনধরনের কর্ণপাত না করে অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া আব্বাস উদ্দিন দোকানের ভেতরে ইয়াবা বাংলা মদ ও গাঁজা বিক্রি করে যাচ্ছে। রাতের বেলায় মাদক সেবন করে আগত মাদকসেবি লোকজন মাতলামি করছে। এই অবস্থায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দোকান মালিক বদিউল আলম মানিক বলেন, সর্বশেষ গত ১৮ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে মাদকসেবীরা মাদক সেবন করে মাতলামি করার সময় আমি ঘটনাস্থলে যাই। এসময় ভাড়াটিয়া আব্বাস উদ্দিনকে দোকান ছেড়ে দিতে বলি। এতে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটিয়া আব্বাস উদ্দিন ও তার সহযোগীরা আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন দোকান ছাড়বে না৷ বেশি বাড়াবাড়ি করলে আগুনে দোকানঘর পুড়িয়ে দেবে, আমাকে প্রাণে হত্যা করবে। এই অবস্থায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
দোকান মালিক বলেন, ঘটনাটি আশপাশের লোকজন দেখেছেন। স্থানীয় বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরে হোছাইন আরিফও অবগত হযেছেন। পরে আমি বাধ্য হয়ে এলাকার আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ও জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নিতে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, দোকান মালিকের লিখিত অভিযোগটি তদন্তের জন্য থানার এসআই মেহেদী হাসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাদক কারবারের ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##
পাঠকের মতামত: