নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম আধ্যাত্বিক সাধক বর্ষিয়ান আলেমেদ্বীন বদরখালীর পীর ও বরেণ্য শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব শাহ মাওলানা হাবিবুর রহমান (১০০) বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর রাত পৌঁনে ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কলেজপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে ৭ছেলে ও ৩মেয়ে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ কক্সবাজার জেলার প্রাচীণতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চকরিয়ার সাহারবিল আনওয়ারুল উলুম কামিল (এম.এ) মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং চকরিয়ার বদরখালী এমএস ফাজিল মাদরাসায়ও দীর্ঘ ২০বছর পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে চাকুরি থেকে অবসরে গেলে তিনি ওই মাদরাসায় সম্মানীয় পদবিতে রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও জীবদ্দশায় মাওলানা হাবিবুর রহমান বদরখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও বদরখালী ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানের ঈদ জামাতের খতিব ছিলেন।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৪টায় বদরখালী কলোনিজেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ তথা ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানে বিশাল নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন মরহুমের বড় জামাতা অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল কুদুছ আনোয়ারী আল আজহারী।
বিশাল জানাযাপূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি হাজী মৌলভী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আজাদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, চকরিয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক, সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, বদরখালী কৃষি ও উপনিবেশ সমবায় সমিতির সভাপতি, মরহুমের বড় জামাতা অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল কুদুছ আনোয়ারী আল আজহারী ও মেঝো জামাতা অধ্যক্ষ মাওলানা কফিল উদ্দিন ফারুক। এতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোজাম্মেল হক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বমহলের লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
স্মরণকালের বৃহত্তর এ জানাযায় মানুষের উপস্থিতি ছিলো অগণিত। সকলের প্রিয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষটির নামাযে জানাযায় অংশ নিতে মাঠ জুড়ে শোকাহত জনতার ঢল নামে। জানাযা শুরুর আগ মুহুর্তে চোখ ফেরাতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো ময়দান। স্টেশন জুড়ে মানুষ আর মানুষ। জানাযার উপস্থিতি রূপ নেয় জনসমুদ্রে। মাঠ ছাড়িয়ে জন¯্রােত উপচে পড়ে চলাচলের রাস্তায়। যেখানে সমবেত হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রভাবশালী প্রশাসন বদরখালী কৃষি ও উপনিবেশ সমবায় সমিতির কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, আলেম সমাজ, শিক্ষক সমাজ, সাংবাদিক সমাজ, ব্যবসায়ী সমাজ, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।
পাঠকের মতামত: