এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বদরখালীতে সরকারি পানি চলাচলের খাল জবরদখলে নিয়ে মাটি ফেলে ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মুহুরীজোরা এলাকায় সরকারি খালটি জবরদখলের কারণে পানি চলাচলের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। এ অবস্থার কারণে ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়েছে আশপাশ এলাকার বিপুল জনবসতি ও জনগনের চলাচলের একটি গ্রামীন সড়ক।
খালটি দখলে নিয়ে মাটি ফেলে ভরাটের কারণে বেশি হুমকিতে পড়েছে খাল লাগোয়া মুহুরীজোরা এলাকার মোহাম্মদ ছৈয়দের বসতবাড়িটি। এ ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবারটির গৃহকর্তা মোহাম্মদ ছৈয়দ বাদি হয়ে বদরখালী সমিতির সভাপতি সম্পাদকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটিতে বিবাদি করা হয়েছে খাল দখলে জড়িত একই এলাকার মৃত আকবর আহমদের ছেলে মিজানসহ দুইজনকে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বদরখালী সমিতির সম্পাদক নুরুল আমিন জনি। তিনি বলেন, সরকারি পানি চলাচলের খাল জবরদখলে মাটি ভরাটের বিষয়ে মুহুরীজোরা এলাকার মোহাম্মদ ছৈয়দ নামের একজন লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দিতে সমিতির কয়েকজন পরিচালক ও পেশকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী দাবি করেছেন, মুহুরীজোরা খালটি সরকারি খাস শ্রেণীর জমিতে অবস্থিত। মুলত এই খাল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আশপাশ এলাকায় জমে থাকা বর্ষামৌসুমে অভিরাম বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয়ে আসছে। পাশাপাশি এলাকার কৃষকরা খালের পানি নিয়ে জমিতে সেচ সুবিধা নেন।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘবছর ধরে মুহুরীজোরা খালটি দিয়ে এলাকার সবধরণের পানি চলাচলের ব্যবস্থা থাকলেও সম্প্রতি সময়ে স্থানীয় মিজান নামের এক ব্যক্তি বলপুর্বক ওই খালটি দখলে নিয়েছে। বর্তমানে সেখানে মাটি ফেলে ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার কারণে কারণে পানি চলাচলের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। এতে ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়েছে আশপাশ এলাকার জনবসতি ও জনগনের চলাচলের একটি গ্রামীন সড়ক।
এদিকে পানি চলাচলের খালটি অবৈধ দখলমুক্ত করার মাধ্যমে পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় সর্বস্তরের জনসাধারণ উপজেলা প্রশাসন ও বদরখালী সমিতির সভাপতি সম্পাদকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: