উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশ এলাকায় গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে এ নিম্নচাপ সৃষ্টি করেছে।
এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, তাড়াশ ও কুমারখালী অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী বাতাস বয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
এছাড়া সারা দেশে আগামী পাঁচদিন তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। পাশাপাশি আগামী দুদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে c জানানো হয়েছে।
এদিকে ইন্ডিয়া মেট ডিপার্টমেন্টের পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নিম্নচাপটিকে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলের নেল্লোরের ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ওডিশার উপকূলে পৌঁছে বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম কেন্দ্রের দিকে মোড় নেবে এটি। ফলে গতিপথ পরিবর্তন করে নিম্নচাপটি বাংলাদেশ কিংবা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ আরো পূর্ব-দক্ষিণ উপকূলঘেঁষে এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দিকে ধাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাঠকের মতামত: