এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া সরকারি কলেজে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী তথা মুজিববর্ষকে স্বরণীয় করে রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যতিক্রমী বৃক্ষরোপন কর্মসুচির মাধ্যমে দিসবটিকে স্বরণীয় করে রেখেছেন। এদিন কলেজ ক্যাম্পাসে জাতির পিতার একশত জন্মদিনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একশটি গাছের চারা রোপন করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃক্ষরোপন কর্মসুচি উদ্বোধন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
চকরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে বৃক্ষরোপন কর্মসুচি উদ্বোধন করা হয়। এরপর কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতির পিতার জন্মদিনের কেক কাটেন এমপি জাফর আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক পদ্মলোচন বড়ুয়া, অধ্যাপক একেএম সাহাবুদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাবু এমআর চৌধুরী, অধ্যাপক মুজিবুল হক রতন, অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ বড়ুয়া। জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মামুনুল হক, প্রভাষক সবুজ ধর, প্রভাষিকা ছাবেকুন্নাহার লিমু ছাড়াও কলেজের সকল শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদস্য, কলেজ ছাত্রলীগের সকলস্তরের নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুধীজন।
অনুষ্ঠানে আলহাজ জাফর আলম এমপি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য মেধানির্ভর শিক্ষার সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করেছে। তাঁর সদিচ্ছার কারনে আজ শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার সুষ্ট পরিবেশ নিশ্চিতে সরকার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব ধরণের কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছেন। উন্নয়নের এই ধারা চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিশ্চিত করা হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে নিরক্ষতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। সেইলক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যবই পাচ্ছে। লেখাপড়া করতে সব ধরণের উপবৃত্তি সুবিধা পাচ্ছে। মেধাবীদের সরকারি চাকুরী নিশ্চিত করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল প্রকল্পসহ নানা ধরণের প্রনোদনা প্রকল্প। যাতে শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা নিয়ে সুন্দর পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে। নিজেকে আগামীর জন্য দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরী করতে পারে।
জাফর আলম এমপি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান্নোয়ন নিশ্চিতকল্পে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার সবশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাজানো হবে। লেখাপড়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক হিসেবে তৈরী করতে হবে। সেইজন্য অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলীকে সজাগ ভুমিকা পালন করতে হবে।
পাঠকের মতামত: