ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ফাসিয়াখালী বন থেকে চোরাইকাঠের তথ্য জানতে গিয়ে রেঞ্জার- সাংবাদিকদের বাতবিতন্ডা: দিনভর উত্তেজনা

VID_20170726_11155_46788(1)মনির আহমদ, চকরিয়া :

চকরিয়া ফাসিয়াখালী রেঞ্জ অফিসে বেলাল নামক এক যুবককে আটকের কারন জানতে চাইলে রেঞ্জকর্মকর্তা আব্দুল মতিন সাংবাদিকদের উপর তেড়ে আসে।  এ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতন্ডা হলে উপস্থিত থাকা সহকারী বন সংরক্ষক বেলায়েত হোসেন রেঞ্জকর্মকর্তা আব্দুল মতিনকে নিবারন করতে চাইলেও তিনি বারবার সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসেন।  পরে অবশ্যই কড়া নির্দেশের কারনে নিবৃত হতে বাধ্য হন।সহকারী বন সংরক্ষক বেলায়েত হোসেনের উপস্থিতে এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ ২৬ জুলাই সকাল ১১টায় রেঞ্জকর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে।

জানা যায়, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ফাসিয়াখালী রেঞ্জের অধিনস্থ বনবাগান থেকে কাঠ পাচার, বনভুমি দখল বিক্রী অব্যাহত থাকার ঘটনা বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। তবু ও বনবিভাগ রহস্যজনক কারনে বনভুমি দখল ও কাঠচোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠে কাঠচোর সিন্টিকেট। সর্বশেষ কাঠচোরেরা রিংভং মগ্যারমার ছড়া সেগুন বাগান থেকে ৬ টুকরা সেগুন কাঠ কেটে পাচারের উদ্দ্যেশ্য অপেক্ষা করছিল কতিপয় কাঠ চোর। এ সংবাদটি ওই এলাকার বেলাল নামের এক যুবক সংশ্লিষ্ট উর্ধতন বন কর্তৃপক্ষকে মোবাইল ফোনে জানান। বাধ্য হয়ে রেঞ্জকর্মকর্তা বন কর্মিদের নিয়ে এ কাঠ জব্দ করে রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে আসে। আসার সময় বেলাল নামের ওই যুবককে বন কার্যালয়ের শ্রী ঘরে ঢুকিয়ে রাখে। এ সংবাদ পেয়ে একদল সাংবাদিক আজ ২৬ জুলাই সকালে রেঞ্জ অফিসে গেলে দ্বায়ীত্বরত রেঞ্জার আব্দুল মতিন সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসেন। এক পর্যায়ে উক্ত রেঞ্জার নিজেকে ডাকাতের সর্দার বলে হুংকার ছেড়ে মুহুর্তের মধ্যে রেঞ্জ অফিস ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেয়। বারবার সাংবাদিকদের দিকে রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিন তেড়ে আসায় উপস্থিত সহকারী বন সংরক্ষক বেলায়েত হোসেন রেঞ্জকর্মকর্তাকে নিবৃত হতে নির্দশ দিলেও উক্ত বনসংরক্ষকের কথা না রাখায় ক্ষুব্দ হয়ে পার্শ্ববর্তি সহ বনব্যবস্থাপনা ভবনে অনুষ্টিতব্য মিটিং এ চলে যান। পরে সহ বন সংরক্ষকের অবস্থা দেখে উক্ত রেঞ্জকর্মকর্তা ও চলে যেতে বাধ্য হন। এ নিয়ে উপস্থিত লোকজন ও সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পাঠকের মতামত: