নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও জনবান্ধব সমাজ সেবক কুতুব উদ্দিন তার নির্বাচনী এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারনায় ও জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাগরিক কমিটি মনোনীত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কুতুব উদ্দিন প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন অলিগলিতে ও পাড়া-মহল্লায় আনারস প্রতীকের সমর্থনে প্রচারণা ও উঠান সভা করে যাচ্ছেন। শনিবার ও রবিবার রাতে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আনারস প্রতীকের সমর্থনে বেশ কয়েকটি উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন তিনি।
এদিকে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও উঠান সভার কর্মসূচিতে তার অনুগামী অসংখ্য কর্মী-সমর্থকসহ স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন মুরব্বি, তরুণ যুবকসহ নানা পর্যায়ের জনসাধারণের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই আনারস প্রতীকের সমর্থন ও গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবী করেছেন সাধারণ ভোটারেরা। ফাঁসিয়াখালী ১নম্বর ওয়ার্ড জনপদের সভ্রান্ত পরিবারে এই সন্তান এবারের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও ক্লিন ইমেজ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে আলোচনার শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও দাবী করেন স্থানীয় ভোটারেরা।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কুতুব উদ্দিন উঠান সভায় বলেন, ইউনিয়নের যেখানেই যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ আনারস প্রতীকে মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। মানুষের ভালোবাসা ও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্তরিকতা দেখে তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। ফাঁসিয়াখালীবাসীর দিন-মজুর, অসহায়, দরিদ্র, কৃষক ও অবহেলিত মানুষের স্বার্থে এ জনপদের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে ভোটে দাঁড়িয়েছি। জীবনে আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আল্লাহপাক আমাকে যা দিয়েছেন তা নিয়ে সুখে দিন কাটাতে পারবো। শুধুমাত্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের স্বার্থে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। এ জনপদের মানুষের কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিতেও প্রস্তুত। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি সরকারি ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণ তিনটি পয়েন্টে ব্যক্তিগত অফিস স্থাপন করবেন। এই ঘোষনা দিয়ে তিনি বলেন, আনারস প্রতীকে প্রিয় ফাসিয়াখালীবাসির ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ভাগ্যোন্নয়ন ঘটাতে চাই। ফাঁসিয়াখালীর সাধারণ মানুষ অপশাসন থেকে মুক্তি চাই।
তিনি বলেন, শহরের সেবা গ্রামের মানুষের দূরগোড়ায় পৌঁছাতে সরকার যে মহাপরিকল্পনা ও উদ্যোগ হতে নিয়েছে তাতে উন্নয়নমুখী জনপ্রতিনিধি ও যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তাই ফাঁসিয়াখালী জনপদের ৯টি ওয়ার্ডকে উন্নয়নের মাধ্যমে রূপ দিতে হলে আনারসকে নির্বাচিত করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এলাকার অবহেলিত জনপদকে উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে তরান্বিত করতে চশমা প্রতীককে বিজয় করার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনসাধারণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে অবহেলিত মানুষের ভাগ্যেন্নয়ন ও সেবা করার জন্য এবং একটি মডেল ইউনিয়ন রূপান্তরিত করতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনসাধারণ কাছে আনারস প্রতীকে ভোট ও দোয়া প্রত্যাশা করছেন তিনি।
পাঠকের মতামত: