অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চকরিয়া পৌরশহরের বিভিন্ন বিপনী বিতান, স্বর্ণের দোকান, শাড়ির দোকান, রড-সিমেন্টের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এতে ১৭টি মামলায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা এবং ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চকরিয়ায় শপিং কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা। এমনকি দোকান কর্মচারীদের চকরিয়া পৌর মেয়র ঈদ উপলক্ষে উপহার সামগ্রী দেয়ারও আশ্বাস দেন। সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কিন্তু তারপরও কিছু কিছু ব্যবসায়ী এসব সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে এবং প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভোর রাতেই ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এমন সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বিভিন্ন দোকানদারকে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, আমাদের কাছে সব ধরনের খবর থাকে। কে কি করছে সব খবর। ব্যবসায়ীরা মনে করেছিলো প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। কিন্ত সেটা আমরা হতে দেবো না। কোন অবস্থাতেই দোকান খোলা চলবে না। যারা এই নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরো কঠোর হবে প্রশাসন। এখন জরিমানা করা হলেও পরে জেল দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, চকরিয়া বর্তমানে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার সংক্রমন রোধ করতে গিয়ে আমার এসিল্যান্ড করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লোভের পড়ে ব্যবসা করছেন।
পাঠকের মতামত: