মিজবাউল হক, চকরিয়া:
নানা রংয়ের পোষ্টার, ব্যানার, ফেষ্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ ভবন ও পৌর ভবনটি। নানা রংয়ের পোষ্টারে সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে পৌরশহরও। কোন উৎসব এলেই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াও যৌন উত্তেজক ওষুধ কোম্পানির প্রচারপত্র লাগিয়ে সৌন্দর্য্য নষ্ট করছেন।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ ও পৌরভবনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের ভবনটি নানা রংয়ের ব্যানার, পোষ্টার, চিকা ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার কার্যালয় ও বাসভবন গুলোতেও একই অবস্থা। এতে সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয় সমূহের সৌর্ন্দয্য নষ্ট হচ্ছে। সচেতনার অভাব এবং কোন নিয়মনীতি না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান সচেতমহল।
সরকারি কর্মকর্তা ও কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, উপজেলা পরিষদের প্রধান গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে হরেক রকম পোষ্টার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্কুল-কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কবিরাজ কোম্পানির প্রচারপত্রসহ শতশত পোষ্টার লাগানো হয়েছে দেয়াল গুলোতে।
সরকারের নানা উন্নয়ন বাস্তবায়নের কর্মসূচী প্রচারের জন্য উপজেলা পরিষদের ভবনের সামনে কয়েকটি বিলবোর্ড রয়েছে। সেখানে সরকারি কর্মসূচী প্রচারের নিয়ম থাকলেও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পোষ্টারে লাগিয়ে সৌর্ন্দয্য নষ্ট করা হচ্ছে। এমন কী উপজেলা পরিষদের পুরো ভবনে নানান রংয়ের পোষ্টার লাগানো হয়েছে। বিশেষ করে
চকরিয়া থানা, শিক্ষা ভবন, নির্বাচন অফিস, আদালত ভবন, সমাজসেবা কার্যালয়, পল্লী উন্নয়ন কার্যালয় ও আশপাশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবন গুলোতে পোষ্টার লাগানো হয়েছে। বৈদ্যুতিক খুটির সঙ্গে লাগানো হচ্ছে এসব ব্যানার, ফেষ্টুন, বিলবোর্ড ও পোষ্টার। যেন দেখার কেউ নেই। এতে উপজেলা পরিষদ, পৌর ভবন সহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবন ও অফিস গুলো দিনদিন সৌর্ন্দয্য হারাতে বসেছে।
চকরিয়া পরিবেশ ফোরামের সভাপতি এমআর মাহমুদ বলেন, চকরিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস গুলোতে পোষ্টার লাগিয়ে সৌর্ন্দয্য নষ্ট করেছে একশ্রেণির মানুষ। অনেকটা অজ্ঞতার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।
এদিকে একই ভাবে চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায় নানা পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে নানা রকমের পোষ্টার লাগানো হয়েছে। সৌর্ন্দয্য হারাচ্ছে পৌরশহরটিও। এব্যাপারে উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভার পক্ষ থেকে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা রুস্তম শাহরিয়ার বলেন, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র পোষ্টার লাগিয়েছে। ফলে সরকারি ও বেসরকারি ভবন গুলোর আসল রূপ খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। সৌর্ন্দয্য রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার কারণে পোষ্টার লাগিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দিন আরফাত বলেন, উপজেলার গুরুত্বপূর্ন ভবন গুলোতে যারা পোষ্টার লাগাচ্ছেন তাদের সচেতনাবোধ থাকা দরকার। তবে উপজেলা ভূমি অফিস বা দেয়ালে কোন রকম পোষ্টার নেই। দ্রুত সময়ে ভবনের পোষ্টার গুলো পরিস্কার করা জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##
ছবির ক্যাপশন: চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন অনুৃষ্ঠানে সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
পাঠকের মতামত: