পেটের ভিতর করে ইয়াবা নিয়ে যাওয়ার সময় টেকনাফে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম দিলদার আহমদ প্রকাশ লালু (১৫)। সে হ্নীলা পুরান বাজারের প্রতিবন্ধী ফরিদ আলমের পুত্র।
গত শনিবার বিকালে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে উখিয়া উপজেলার ইনানীর শফির বিল বাজারে পৌঁছালে ওই কিশোরের মৃত্যু ঘটে। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়। গতকাল রোববার সেখানে ময়নাতদন্তের সময় তার পেটের ভেতর পাঁচ প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া যায় বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সুলতান আহমদ সিরাজী। তিনি বলেন, দিলদারের পেটের ভেতর ইয়াবার একটি প্যাকেট খুলে যায়। এতে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্যাকেটগুলোতে কী পরিমাণ ইয়াবা ছিল তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি।
দিলদারের বাবা ফরিদুল অভিযোগ করেন, ‘হ্নীলার আলী আকবর ডেইল এলাকার নুরুল আলম আমার ছেলেকে প্রলোভন দেখিয়ে ইয়াবা গিলিয়ে পেটে করে পাচারের এ চেষ্টা চালিয়েছে।’ জানা গেছে, পেটের ভিতর ইয়াবা নিয়ে ইনানীর শফির বিল বাজারে পৌঁছলে দিলদার আহমদ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পেটের যন্ত্রণায় সে ছটফট শুরু করলে ঘটনাস্থলে তাকে ফেলে সঙ্গে থাকা নুরুল আলম দ্রুত সটকে পড়ে। এ সময় পার্শ্ববর্তী এক দোকানদার কিশোরটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণের মধ্যে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে ওই কিশোরের পকেটে থাকা মোবাইল নম্বরে কল করে বাড়িতে খবর পৌঁছানো হয় এবং পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ। উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী এলাকায় কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশ থেকে দিলদারের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান উখিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান।
টেকনাফ মডেল থানার এসআই কাঞ্চন কান্তি জানান, বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছেন। তবে কেউ এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেননি বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল আলম গং দীর্ঘদিন ধরে হ্নীলা আলীখালী, রঙ্গিখালী, ফুলের ডেইল, পূর্ব সিকদারপাড়া, পশ্চিম সিকদারপাড়া ও পানখালী এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে টাকার লোভ দেখিয়ে অসহায় নারী–পুরুষদের মাধ্যমে ইয়াবা পাচার করে আসছে।
পাঠকের মতামত: