ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিকিউরিটি গার্ড রিদুয়ানের বিরুদ্ধে ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তিরত রোগীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের একটি পক্ষ বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য কৌশলে প্রকাশ করতে দেয়নি।

পরবর্তীতে বিষয়টি সাংবাদিকদের কানে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি মিটিং ডেকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করে। অভিযুক্ত রিদুয়ান পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনজিও চঝউ কর্তৃক চলতি বছরের ১লা এপ্রিল সিকিউরিটি গার্ড পদে নিয়োগ দেয়া হয়। তার বাড়ি চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের কুতুব বাজার এলাকায়।

ভুক্তভোগী উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ১৬ই জুন দিবাগত রাত ৩টার দিকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩য় তলা ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তিরত রোগীর কক্ষে গিয়ে ৩ জন রোগীকে কাপড় উঠিয়ে ছবি তুলে। পরবর্তীতে শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে একটি শিশুর মা লাবনী (ছদ্মনাম)কে কাপড় খুলে ধর্ষণ করতে চাইলে, পাশে থাকা এক রোগীর স্বজন দেখে ফেলে। তার চেঁচামেচি চিৎকার করে শুনে ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা এগিয়ে আসলে রিদুয়ান পালিয়ে যায়।

ভিকটিম বলেন, সন্তান অসুস্থতার কারণে সন্ধ্যা বেলা ইমার্জেন্সি বিভাগে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্তানকে নিয়ে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলে, হাসপাতালে ভর্তি হয়। রাত ৩টার দিকে সিকিউরিটি গার্ড রিদুয়ান জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মানুষ বিপদে পড়ে হাসপাতালে যায়, সেখানে যদি নিরাপদ না হয় কোথায় নিরাপদ থাকবে? মান-সম্মানের ভয়ে তার নামটি পত্রিকায় না দেয়ার অনুরোধ করেন।

অভিযুক্ত রিদুয়ানের কাছে জানতে চাইলে সে অভিযোগ স্বীকার করে, প্রথমবারের মতো ক্ষমা করে দিতে বলেন। এই বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর, আমরা ডাকার পর সে স্বীকার করেছে, আমরা জরুরি মিটিং করে তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হবে।’

পাঠকের মতামত: