পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় সড়কের জায়গায় নির্মিত হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। চলাচল খালের কালভার্ট ফটক আটকিয়ে একটি প্রভাবশালী চক্র ওই স্থাপনা নির্মিত করছিলেন। স্থানীয়রা বাধা দেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় দখলবাজ চক্রের সাথে গ্রামবাসীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বিক্ষুদ্ধ লোকজন খালের মুখ উম্মুক্ত রাখতে অবৈধ স্থাপনা অপসারন করেছেন। গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাজীবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পত্তির পথে। স্থানীয়রা জানায়, চান্দার পাড়া চেপ্টাখালী সড়কের কাজীবাজার পয়েন্টে একটি দোকানঘর নির্মান নিয়ে স্থানীয়দের সাথে বিরোধ চলছিল কোদাইলাদিয়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাফায়াতের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চেপ্টাখালী নামক খালের চলাচল পথে দক্ষিণ মগনামা ফুলতলা সড়কের কাজী বাজার পয়েন্টে একটি কালভার্টের ফটক আটকিয়ে ওই ব্যক্তি দোকান ঘর তৈরী করছিল। মাটি ভরাট করে ভিটি তৈরী হওয়ায় চলাচল প্রধান ওই খালের পানি নিস্কাশন থেমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, চান্দার পাড়ার সড়কের প্রধান অংশ সংকোচিত হওয়ায় স্থানীয়রা ওই কাজ বন্ধ করে। এ নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। খবর পেয়ে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফাত উল্লাহ ওয়াসিম ওই স্থানে যান। প্রত্যক্ষদর্শী এজাহার মাঝির ছেলে মোক্তার, শাহ আলম জানায়, তিনজন চেয়ারম্যান এ জায়গাটি দখলমুক্ত রেখেছে। ১৭ বছর আগে ইউনুছ চেয়ারম্যান এ জায়গাটি ভুট্রো নামে এক শিক্ষিত বেকার যুবককে দোকান নির্মাণের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। চলাচল উম্মুক্ত রাখতে আমরা বাধা দিই। সে দিন তারা জায়গা জবর দখল করতে চেয়েছিলেন। এ ব্যাপারে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম জানায়, সড়ক ও চলাচল খালের জায়গা কেউ বিক্রি করতে পারেন না। এলাকার লোকজনের দাবী যৌক্তিক।
পাঠকের মতামত: