পেকুয়ায় মগনামা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সদস্য আবুল কাসেমকে জামাতকর্মী বানানোর পাঁয়তারা করছে খোদ ওসি। মগনামার ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে পুলিশে দিলেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে। পৃথক দু’টি মামলায় প্রায় এক মাস ধরে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্টে দিন কাটছে তার। তাকে ফাঁসানোর জন্য পুলিশকে ম্যানেজ করে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনার অবতারনা। এতে করে মগনামা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষসহ স্থানীয় ক্ষমতাসীন দল ফুঁসে উঠেছেন। তাকে আটকের পর তোপের মুখে পড়েন ইউপি চেয়ারম্যান ও পেকুয়া থানার ওসি। বিবৃতি, কর্মসুচি, পোষ্টারিংয়ে এলাকায় এ ঘটনা চাঞ্চল্য ও আলোচিত হয়েছে। স্বোচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ মগনামা ইউনিয়ন শাখা ও প্রতিবাদি জনতা সোচ্চার হয়েছেন। চলছে পোষ্টারিং। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ ঘটনা পর্যবেক্ষন করছেন। এদিকে এলাকায় বিলি করা হয়েছে পোষ্টার। স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ইউনিয়ন যুবলীগ অবিলম্বে আবুল কাসেমের মুক্তির দাবি ও মামলার প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকায় ব্যাপক পোষ্টারিং করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুক) ও ইন্টারনেটে এ পোষ্টার ছড়িয়ে দেয় প্রতিবাদি কন্ঠ। তারা এ পরিস্থিতির জন্য ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া ও মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমকে সরাসরি দায়ী করেছেন। উদ্বোট পরিস্থিতি ও জনতার কন্ঠ স্তব্ধ এ পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে এখন চালানো হচ্ছে অপপ্রচার। স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল কাসেমকে পরিচয় দেয়া হচ্ছে জামাতকর্মী হিসেবে। অপপ্রচার ও মিথ্যার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকলীগের এ নেতাকে অহেতুক বানানো হচ্ছে জামায়েত নেতা। এ প্রচারের মুখ খোলতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল। ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক রশিদ আহমদ, সহ-সভাপতি নাজেম উদ্দিন জানায় আবুল কাসেম আ’লীগ পরিবারের সন্তান। তার পিতা আব্দুল মোতালব মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের দলের নিবেদীত মানুষ ছিলেন। আবুল কাসেম স্বেচ্ছাসেবকলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। পুলিশ দায়ী এড়াতে কাসেমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সোলতান মুহাম্মদ রিপন জানায় অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে চেয়ারম্যান ওয়াসিম আমাদের নেতা আবুল কাসেমকে পুলিশে দিয়েছে। ওসিকে মোটা অংকে ম্যানেজ করে এ জঘন্য কাজ করিয়েছে। ওসি মোস্তাফিজ চেয়ারম্যান ওয়াসিমের কেনা গোলাম। প্রশাসনের ভিতর লুকিয়ে থাকা বিএনপি-জামাতের প্রেতাতœা ওই ওসি। এখন আমাদের নেতাকর্মীদের উপর অত্যচার ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। নিজের দায় এড়াতে ও চেয়ারম্যানের টাকা জায়েয করতে কাসেমকে জামাত কর্মী বানানোর অপপ্রচারে নামছে ওসি।
############
পেকুয়ায় তিনটি দোকানে চুরি
পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় তিনটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (২১ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলা পেকুয়া সদর কলেজ গেইট চৌমুহনী স্টেশনে এ চুরি সংঘঠিত হয়েছে। ওইদিন রাতে চোরেরদল তিনটি দোকান থেকে নগদ এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ২০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এঘটনায় এক ব্যবসায়ী বাদি হয়ে থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন।
চৌমুহনীর ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাতে পেকুয়া চৌমুহনীর গোলাম মোস্তফা চৌধুরী মার্কেটের রফিক আহমদের মালিকানাধীন সেবা প্যাথলজি, ডা.জিয়া উদ্দিনের চেম্বার ও রাকিব মোস্তফার মালিকানাধীন টাইলস গার্ডেন নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় চোরেরদল। এসময় তারা তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে সেবা প্যাথলজি থেকে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা, টাইলস গার্ডেন থেকে তালা ও ইলেকট্রিক সামগ্রী এবং চিকিৎসকের চেম্বার থেকে কিছু আসবাবপত্র নিয়ে যায়।
পেকুয়া চৌমুহনী স্টেশন ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, থানার তিনশত গজের মধ্যে অবস্থিত চৌমুহনী স্টেশনে এককের পর এক চুরি সংঘঠিত হলেও এ পর্যন্ত প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে চোরেরদল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, পাহারাদারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন কৌশলে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। চৌমুহনী এলাকায় কমিউনিটি পুলিশকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
################
পেকুয়ায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখতে মাঠে নামবে জাতীয়পার্টি
পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় ইউএনও মারুফুর রশিদ খানের বিরুদ্ধে আনীত সেই চক্রান্তের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে এবার মাঠে নামবার ঘোষানা দিয়েছে জাতীয়পার্টি। ইউএনওকে নিয়ে নষ্টামিদের চক্রান্তের গুনঞ্জন চলছে পেকুয়ায়। এক শ্রেনীর মামলাবাজ চক্র পেকুয়ার ইউএনওকে ফাঁসানোর চেষ্টায় মেতেছে। তারা একজন মহিলাকে দিয়ে কাল্পনিক ঘটনার মঞ্চস্থ করে তাকে ফাঁসানোর দুর্ধান্ত চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে পেকুয়ার সুশীল সমাজ, সাধারন মানুষ, রাজনৈতিকবর্গ এ চক্রান্ত রুখে দেয়ার দৃঢ সংকল্পবদ্ধ হয়েছে। জাতীয়পার্টি পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সম্প্রতি ইউএনও মারুফুর রশিদ খানের বিরুদ্ধে চক্রান্তের ষ্পষ্ট পুর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। নষ্টামিদের একটি কীট চক্র ইউএনওকে ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছে। পুর্ব পরিকল্পিতভাবে একজন নারীকে নিয়ে কাল্পনিক ঘটনার মঞ্চস্থ করার চেষ্টা করছে। তারা চক্রান্তকারী। পেকুয়ার অগ্রযাত্রা ও সম্ভবনাকে নসাৎ করতে এটি গভীর চক্রান্ত। ইউএনও মারুফুর রশিদ খান পেকুয়ায় বিগত দু’বছর আগে যোগদান করেন। তিনি সত্যকার একজন মহৎ মানুষ। সরকারি আমলা হলেও তার মধ্যে প্রচন্ড আগ্রহ ও অনুভুতি পরিলক্ষিত হয়েছে। সাধারন ও বঞ্চিত মানুষের জন্য তার যে পথ চলা সেটি যেকোন মানুষের জন্য সত্যিই অনুসরন যোগ্য। দুর্নীতি, অনিয়ম কঠোর হস্তে দমন করেছেন পেকুয়ায়। নির্লোভ, নিরাহংকার এ মানুষটি নিজেকে কর্ম ও মানুষের সেবার মধ্যে নিয়োজিত রেখেছেন। অবিচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা সোচ্ছার। উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতিতে ইউএনও যেকোন সময় নিজেকে মেলে ধরেছেন। সরকার ও রাষ্ট্রের কাছে তিনি অত্যন্ত দৃঢ় আস্থাশীল। শাসক ছিলেননা। ছিলেন তিনি সেবক। উদারতা, মানবিকতা, ক্ষমা ও শাসন তাকে সর্বাধিক মর্যাদা ও গ্রহন যোগ্যতা অর্জনে পেকুয়ায় সমাদৃত হয়েছেন। সৎ ও সাদা মনের প্রশংসনীয় গুনাবলীর একজন সরকারি আমলা তিনি। পেকুয়ায় তার কাজ ও পরিচিতি ব্যাপকভাবে প্রসারিত। বঞ্চিত, অসহায় মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। কিন্তু মহানুভব ও নির্বিক পরিশ্রমী এ মানুষটির সমস্ত অর্জন ও অগ্রগতিতে ম্লান করতে অপতৎপরতা শুরু করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা জাতীয়পার্টি এগুলো প্রত্যাখানসহ এ নষ্টামির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। জাতীয়পার্টি মনে করে এটি চক্রান্তে ফাঁদ। যারা সমাজ ও মানুষকে শোষন করে, ইউএনও’র কাজ অনৈতিক সুবিধা পেতে সক্ষম হননি তারা চুড়ান্ত মুর্হুতে তাকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টি এসব বিশ্বাস করেনা। ইউএনওকে বলছি আপনি ন্যায় প্রতিষ্টার জন্য যেভাবে চলমান রয়েছেন এ ধারা অব্যহত থাকুক। পেকুয়া মানুষ আপনার কাছ থেকে যে সেবা পেয়েছে সেটি মানুষ আজীবন মনে রাখবে। কর্ম ও কীর্তির মধ্যে মহৎ ও মহান ব্যক্তিরা চির স্মরনীয় হয়ে থাকে। ফুল ফুটে ঝরে যায় দুনিয়ার রীতি। মানুষ মরে যায় রেখে যায় স্মৃতি। আপনি যা করছেন তা মানবতা ও মানুষের কল্যানেই করে চলেছেন। আমরা এসব সমর্থন করি। কেননা দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষগুলো আপনার সময় পেকুয়ায় লাভবান হয়েছেন। কিছু চক্রান্তকারী অপপ্রচার করলে মহৎ মানুষগুলোর কর্মের ফল সর্বজন স্বীকৃত হয়। দুর্ভাগ্য নীতির পরিক্ষক। ইহা ছাড়া মানুষের সততার ওজন করা যায়না। আজ আপনার সততার ওজন সারা পেকুয়ায় বিদ্যমান। তাই জাতীয় পার্টি ও সর্বস্তরের পেকুয়াবাসি আপনাকে মনে করে আপনি ইউএনও না সত্যকার একজন সেবক, সর্বজন শ্রদ্বেয় অভিভাবক। আমরা চাই আজীবন আপনাকে কাছে পেতে। গতকাল শনিবার (২২অক্টোব) জাতীয় পার্টি পেকুয়া উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে চক্রান্তকারীদের রুখতে মাঠে নামার এ হুশিয়ারী উচ্চারন করা হয়েছে। জাতীয় পার্টি পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ও জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহকারি সাধারন সম্পাদক এস.এম মাহবুব ছিদ্দিকী এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস নোট থেকে এ বিবৃতি জানানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত: