ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্মচারীর বিরদ্ধে কোচিং বানিজ্যের অভিযোগ

pekua-pic-299পেকুয়া প্রতিনিধি :::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বেপরোয়া কোচিং বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী কর্মচারী কর্তৃক কোচিং বানিজ্যের ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কোচিং বানিজ্যের বিরদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জিরো টলারেন্সে থাকলেও পেকুয়ায় তা মানছেনা খোদ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্মচারী!

 প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ের অধীন মগনামা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. মুবিনুল হক ও মগনামা ফুলতলা কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এস এম শাহাদাত হোসেন (শাহেদ) দীর্ঘদিন ধরে কোচিং বানিজ্য চালাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের এ দুই কর্মচারী তাদের নির্ধারিত কর্মস্থল এলাকা মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা ষ্টেশনের লাইলা মার্কেটের কয়েকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ‘উপকূলীয় আইডিয়্যাল কোচিং সেন্টার’ নামের একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন। ওই কোচিং সেন্টারে সকালে ও বিকালে ৩য়ূ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে। আর প্রতিজন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও পেকুয়া উপজেলা সদরের চৌমুহুনী এলাকায় মৌলভী খালেদ মার্কেটের কয়েকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ‘প্রতিভা কোচিং সেন্টার’ নামে আরো একটি প্রতিষ্টান পরিচালনা করছেন ফুলতলা কমিউিনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি হিসেবে সরকারী চাকুরীরত এস এম শাহাদাত হোসেন শাহেদ। এছাড়াও শাহাদাত হোসেন সরকারী চাকুরীর পাশাপাশি পেকুয়া উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সরকারী কোন কর্মচারী দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য না থাকার দুদুকের বিধান রয়েছে। কিন্তু সরকারী চাকুরীর তথ্য গোপনে ওই কর্মচারী দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পেকুয়া উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের এই দুই কর্মচারী সরকারী চাকুরীর আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে কোচিং সেন্টার গড়ে তুলে অবৈধ কোচিং বানিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে স্বাস্থ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ওই দুই কর্মচারীর কোচিং বানিজ্যের বিষয়ে অবগত হয়েও কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা।

 অভিযোগের বিষয়ে মগনামা ফুলতলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি এস এম শাহাদাত হোসেন (শাহেদ) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তেমন টাকা পয়সা নেননা। সরকারী চাকুরীর পাশাপাশি কোচিং করলে কোন অসুবিধা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী।

 অপরদিকে একই অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মগনামা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. মুবিনুল হকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পেকুয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আতিক এ প্রসঙ্গে বলেন‘ তিনি কোচিং বানিজ্যের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে মগনামার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

অপরদিকে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও (ভারপ্রাপ্ত) ডা: মো. মুজিবুর রহমান জানান, মগনামা ফুলতলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি শাহাদাতের বিরুদ্ধে নির্ধারিত কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে কোচিং বানিজ্য জড়িয়ে পড়লে অবশ্যই খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: