ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় শক্তিশালী করনের কাজ নেই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের

pekua,,নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় শক্তিশালী করনের কাজ নেই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগি সংগঠনগুলোর। এ সব সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা চলছে। নেই কোন গতিশীলতা। দলের মূল নেতার সাথে তৃণমূলের কর্মীর বেড়েছে দূরত্ব। লাগামহীন স্থবিরতায় আ’লীগের সহযোগি সংগঠনগুলোর পেকুয়ায় রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। মূল দল আ’লীগের সাথে উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি-সম্পাদক সহ কিছু নীতি নির্ধারকের সমন্বয় চোখে পড়ে। আ’লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচী ও সভা-সমাবেশে সহযোগি সংগঠনের স্বল্প সংখ্যক নেতার আগমন ঘটে। তবে এ সব সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অনুপস্থিতি লাগামহীন। পেকুয়ায় ক্ষমতাসীন দলের সহযোগি সংগঠনগুলোর মধ্যে পারষ্পরিক সমন্বয় নেই। একলা চল নীতির মধ্যে এ সব সংগঠন চলছে পেকুয়ায়। একটি সহযোগি সংগঠনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতার সাথে অপর সহযোগী সংগঠনের নেতার মধ্যে বেড়েছে দূরত্ব। নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার অভাব প্রকট। যে কোন ক্ষুদ্র স্বার্থে তারা একজন অন্যজনকে প্রকাশ্যে হেনস্থা করতেও দ্বিধা বোধ করেন না। পেকুয়ায় সহযোগি সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রমে তৈরী হয়েছে ভাটা। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সাংগঠনিক দুর্বলতাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। শক্তিশালী করনের কোন কাজ এ পর্যন্ত দেখা যায় নি। বিরোধীদল থাকার সময় সহযোগি সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রম শক্তিশালী ছিল। দলীয় ভীত ছিল শক্তিশালী ও মজবুত। সে সময় যে কোন গনতান্ত্রিক আন্দোলন ও অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে অতন্দ্র প্রহরী ছিল এ সব সহযোগি সংগঠন। বর্তমানে অতীতের এ অবস্থা শুধু স্মৃতি। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আ’লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো ঝিমিয়ে পড়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আ’লীগের মূল শক্তি সহযোগি সংগঠন। সহযোগি সংগঠন আ’লীগের প্রাণের স্পন্দন। রাজপথে যে কোন আন্দোলন, সংগ্রামে তারুন্যে ভরপুর এ সব সংগঠনের কর্মীরা জীবন বিসর্জন ও বাজিমাত করে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। পেকুয়ায় সহযোগি সংগঠনগুলোর সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড স্থমিত হয়ে গেছে। স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে দু’জনের মধ্যে। সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে এই সংগঠনের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। দলটির অনেক ইউনিয়নে আগে থেকে কমিটি নেই। সাত ইউনিয়নের মধ্যে একটি ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক বিএনপি ও যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা কখনও আ’লীগ করেননি। অথচ এসব নেতৃত্বকে দেয়া হয়েছে ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ। টইটং,বারবাকিয়া, রাজাখালী, শিলখালী ও মগনামা ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ইউনিয়ন শাখার কোন রাজনীতি নেই। সদর ইউনিয়ন, উজানটিয়া ইউনিয়নে কমিটি আছে। বিগত ১৩-১৪ বছর আগে এ সংগঠনের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর থেকে বর্তমান নেতৃত্বের মাধ্যমে দলটি পরিচালিত হচ্ছে। কৃষকলীগের অবস্থা আরো সুচনীয়। উপজেলায় ৫-৬ জনের মধ্যে কৃষকলীগের রাজনীতি সীমাবদ্ধ। প্রবাসী আবদু রশিদ ভেট্রু এ সংগঠনের মূল স্তম্ভ। কিন্তু তিনি সারা বছর থাকেন বহিবিশে^। নাছির উদ্দিন, আবু তালেব ও মাস্টার নিজাম উদ্দিন একটু সক্রিয়। ইউনিয়নে কৃষকলীগের কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। জাতীয় শ্রমিকলীগ দু’জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এ দলটির সাথে মূল দল আ’লীগের দূরত্ব তৈরী হয়েছে আগে থেকে। নুরুল আবছার আহবায়ক ও সাইফুল ইসলাম বাবুল সদস্য সচিব। তারাও দু’জন দু’জনের অন্তরায়। অনৈক্যের মধ্যে এ সংগঠনের কার্যক্রম ঝিমিয়ে গেছে পেকুয়ায়। ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার কমিটি বিগত দেড় বছর আগে অনুমোদন দেয়া হয়। সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের মধ্যে চলছে মতদ্বন্ধ ও ¯œায়ুবিরোধ। তারা দু’জনের দ্বন্দের মধ্যে সংগঠনটির মূল ঐক্য ভেস্তে চলেছে। যুবলীগ উপজেলা শাখার কমিটি বিগত দু বছর আগে অনুমোদন দেওয়া হয়। দলটির পূনর্গঠনের সময় একটু শক্তিশালী ভাব দেখা যায়। ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে যুবলীগে প্রশ্ন দেখা দেয়। মগনামা ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠনে বিএনপি ও যুবদল নেতাদের মূল পদে আসীন করা হয়েছে। মহিলা আ’লীগের রাজনীতিও একই কায়দায় চলছে। ৫-৬ জন নারী মহিলা আ’লীগের রাজনীতিকে বেগবান করার কাজে দেখা যাচ্ছে। তবে ইউনিয়নে মহিলা আ’লীগের কোন কমিটি নেই। যুব মহিলালীগের রাজনীতি একজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। জন্নাতুল তাহমিনা শিমু একাই একশ এই সংগঠনে। তার কোন নারী সহযোগি নেই। এ ভাবে চলছে পেকুয়ায় আ’লীগের সহযোগি সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রম। কিন্তু মুল ¯্রােতধারার সাথে তাদের সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা নেই। তারা এরপর ও স্ব স্ব পদে আসীন রয়েছে। পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক জানান, যুবলীগকে পুনর্জীবিত করা হচ্ছে। সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। কোন বিতর্কিত ব্যক্তি ও দলছুটকে যুবলীগে স্থান দেওয়া হবে না। স্বেচ্ছাসেবকলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক কাইছারুল হক জুয়েল জানায়, পেকুয়ার কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। সাংগঠনিক স্থবিরতার বিষয়টি আমরা আচ করতে পেরেছি। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শে শীঘ্রই স্বেচ্ছাসেবকলীগকে শক্তিশালীকরনের কাজ করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: