ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় মহিলাকে প্রকাশ্যে পেটালেন চেয়ারম্যান!

pekua,,পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলি মাদ্রাসা পাড়া এলাকার মনোয়ারা বেগম (২৯) নামের ৫ সন্তানের জননীকে বেত্রাঘাত করে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ সময় তার কণ্যা জোবাইদা বেগমকেও(৯) মারধর করেন তিনি। আহত ওই মহিলা একই এলাকার আবুল কালামের স্ত্রী। বর্তমানে সে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে, ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় মহিলার বসতবাড়িতে।

 আহত মহিলা মনোয়ারা বেগম স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানায়, তার স্বামী গত ১০মাস আগ থেকে স্ত্রী সন্তান ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। ৫ মেয়ে তার সংসারে অনেক অভাব। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। খোলা টইলেট রাখার অভিযোগে এরই মধ্যে ভাশুর আবুল কাশেম চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। ঘটনার দিন চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী চৌকিদার ও তার ভাশুরসহ আরো কয়েকজন বাড়িতে আসে। এ সময় তিনি কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে লাঠি নিয়ে আহত মহিলাকে মারধর শুরু করে। এক সময় বেত্রাঘাতে আহত হয়ে ওই মহিলা মাটিতে লুঠিয়ে পড়লে তার শিশু কন্যা জোবাইদা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেইও তার বেত্রাঘাতে আহত হয়। সে থেকে ২৪ মার্চ দুপুর পর্যন্ত তাকে তার লোক মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপাতালে যেতে দেয়নি। পরে স্থানীয় কয়েক সংবাদকর্মী এ বিষয়ে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

এ বিষয়ে নির্যাতিত মহিলার ভাই আনিসুর রহমান জানান, তার বোনকে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী অনেক মারধর করেছে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আইনগত ব্যবস্থা নিব আমরা।

 হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো: হাসান জানান, মহিলার মাথায় পিঠে আর নি¤œাংশে পুলা জখম রয়েছে। যার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

 এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাশুরের সাথে ওই মহিলার বিরোধ নিয়ে ২৩ মার্চ শালিসী বৈঠকে বসছিলাম। এ সময় ওই মহিলা অনেক খারাপ ব্যবহার করছিল। তাই দু’তিনটা লাঠির ভারি মেরেছি মাত্র। তাতেতো ওই মহিলা আহত হওয়ার কথা নয়।

পাঠকের মতামত: