পেকুয়ায় উজানটিয়া ইউনিয়নের টেকপাড়া-ঢেমুশিয়া পারাপার ঘাটে যাত্রী ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌ-পারাপারে ইজারাদার যাত্রীদের জিম্মি করে আদায় করছেন অতিরিক্ত টাকা। এতে করে চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ও পেকুয়া উপজেলা উজানটিয়া ইউনিয়নের শতশত লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। নৌ-পারাপারের অন্যতম মাধ্যম মাতামুহরী চ্যানেলের পারাপার এ ঘাটটি। ইজারাদার সরকারি নীতিমালা বর্হিভুত নৌ-পারাপারের সময় হাতিয়ে নিচ্ছেন অধিক টাকা। জানা গেছে চলতি অর্থ বছরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দু’উপজেলার পারাপার ঘাট ইজারা দেয়া হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া এলাকার জাকের আহমদের ছেলে জিয়াবুল হোসেন পাটনি হিসেবে ওই ঘাট ইজারা নেন জেলা প্রশাসকের রাজস্ব বিভাগ থেকে। নিয়ম রয়েছে পারাপার ঘাটে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে দু’মোকামে অনুসারিকা টাঙ্গানো। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ ক্রমে যাত্রী ও মালামাল পারাপারে নির্দেশিকায় আদায়ের মুল্য তালিকা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু ঢেমুশিয়া ও উজানটিয়া পারাপার ঘাটে এসব নিয়ম মানা হয়নি। জানা গেছে সরকারি নিদের্শ আছে প্রতিজন যাত্রীর কাছ থেকে পারাপাওে দু’টাকা হারে টাকা নিবেন। অভিযোগ উঠেছে বর্তমানে ওই ঘাটে জনপ্রতি দশ টাকা হারে আদায় চলছে। মালামাল পারাপারের সময় দ্বিগুন-তিনগুন টাকা নিচ্ছেন ইজারাদার। এ নিয়ে যাত্রীদেও সাথে প্রতিনিয়ত বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে একাধিক। এদিকে যাত্রী হয়রানি লাঘব করতে চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের ১নং ব্লকের বাসিন্দা মাষ্টার আব্দুল জলিলের ছেলে নাজেম উদ্দিন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত দু’দিন আগে ইজারাদারকে অভিযুক্ত করে এ অভিযোগটি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইজারাদার জিয়াবুল হোসেনের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি। উজানটিয়ার ইউপি সদস্য জয়নাল উদ্দিন হাজারী জানায় অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি এলাকার লোকজন আমাকে জানিয়েছেন। আমি ঘাট যিনি চালান তাকে টাকা অতিরিক্ত না নিতে বলেছি।
######################
পেকুয়ায় চলাচল পথ বন্ধ, গৃহবধুকে পেটালেন দুর্বৃত্তরা
পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় চলাচল পথ বন্ধ করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় প্রতিবাদ করায় এক কাঠুরিয়ার স্ত্রীকে পেটালেন দুর্বৃত্তরা। ঘটনার জের ধরে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি হারকিলারদ্বারা পাহাড়ি এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রবিবার সকালে তত্তারঝিরি এলাকায় যাতায়ত পথ বন্ধ করা হয়েছে। মারপিটের শিকার মহিলার নাম জেয়াসমিন আকতার (২৫)। তিনি ওই এলাকার ইসমাইলের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানায় ২০০৩সালে ইসমাইল পরিবার নিয়ে হারকিলারদ্বারায় বসবাস করে আসছিলেন। পাহাড়ের ওই স্থানে ইসমাইলের বসবাসই প্রথম। বনবিভাগ ওই সময় সামাজিক বাগান সৃজনের জন্য ইসমাইলকে এক হেক্টর জায়গা বরাদ্দ দেন। এদিকে সম্প্রতি প্রতিবেশি শাহ আলমের ছেলে ইসমাইলের চলাচল পথ বন্ধ করার চেষ্টা করছিলেন। গত এক মাস আগে আব্দু রহিম পথ আটকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় জেয়াসমিন আকতার বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। স্বামী এ বিষয়ে টইটং ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে অভিযোগ দেন। রবিবার সকালে ফের একই পথ রুদ্ধ করার সময় ওই গৃহবধুকে প্রকাশ্যে পেটালেন রহিমসহ কয়েকজন। এ ব্যাপারে কাঠুরিয়া ইসমাইল জানায় আব্দু রহিম আমার পরিবারের সাথে বর্বর আচরনে লিপ্ত হয়েছে। আমার স্ত্রীর সাথে অশালিন আচরন করে থাকে। টইটং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন জানায় পথ একদিকে আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পুর্ব পাশে তার চলাচলের পথ আছে। ইসমাইলের মা নমেন খাতুন জানান পথ বন্ধ করে দেয়ায় আমার তিন নাতি দু’দিন ধরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আমার পরিবারটি এখন অবরুদ্ধ।
পাঠকের মতামত: