নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::
পেকুয়ায় ৪০শতক জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জায়গা দখলকে ঘিরে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে দু’পক্ষের এ উত্তেজনা চরম আকার ধারন করেছে। রাতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী জড়ো করছে একটি পক্ষ। ভীতি ও আধিপাত্যকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় কয়েক দফা গুলি বর্ষণ করে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পাউবো ও ডেপুটি কমিশন ভুমির যৌথ মালিকানাধীন ৪০শতক জায়গায় একটি পরিবার দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। একমাত্র মাথা গোঁজার নীড় থেকে অসহায় ওই পরিবারকে উচ্ছেদ করতে প্রভাবশালী চক্র স্বশস্ত্র অবস্থান জোরদার করায় এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে এলাকাবাসিরা জানিয়েছেন। গত ২১ মার্চ মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার পেকুয়া সদর ইউনিয়নের জালিয়াখালী এলাকায় গুলি বর্ষণের এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সদর ইউনিয়নের দক্ষিন জালিয়াখালী কাটাফাড়ি নদীর তীর সংলগ্ন স্থানে ৪০ শতক জায়গায় বসবাস করছিলেন মো.ছবির পরিবার। ভুমি হীন মো.ছবি বসতভিটার ওই জায়গা ৩০ বছর ধরে সংস্কার ও রক্ষানাবেক্ষন করছিলেন। বৈধ ভোগ করতে পাউবো ও ডেপুটি কমিশন ভুমি বরাবর বরাদ্দের জন্য উপকারভোগি হন। সম্প্রতি একই জায়গার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে শাহাজামাল গংদের। গত এক সপ্তাহ আগে শাহজামাল ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে রাতে মো.ছবির বসতবাড়িতে হানা দেয়। এসময় তান্ডব চালায়। মো.ছবির পুত্রবধু শারমিন আকতার ও জেয়াসমিন আকতার জানায় আমাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে শাহজামাল রাতে অস্ত্রধারীদের নিয়ে হানা দেয়। এসময় তারা তিন দফায় রাতে গুলি বর্ষণ করে। গতকাল রাতেও ২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে। তারা আমাদের শ্লীনতাহানির চেষ্টা চালায়। আমাদের আত্মচিৎকারে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। এ ভিটায় আমরা ৫ পরিবার বসবাস করছি। এখান থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছেন। শাহজামাল আমাদের কাছ থেকে প্রতি পরিবার থেকে ৪০ হাজার টাকা করে দাবি করে। মো.ছবি জানান, আমি একজন অসহায়। তারা ধনবান ও শক্তিশালী। যে অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে এভাবে চললে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হবো। একজন মেয়েকে দিয়ে চক্রান্ত করছে শাহজামাল। তারা খুন খারাবির মতো পরিস্থিতি ঘটাতে পারে। বিষয়টি রাজনৈতিক নেতৃবর্গ ও প্রশাসন জানানো হয়। তবে শাহজামাল ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘরভিটাটি আমাদের। আমার বাবা বোনকে অস্থায়ী বসবাসের জন্য সেখানে জায়গা দিয়েছিলেন। এখন তারা বেইমানি করছে।
পাঠকের মতামত: