ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় দেবরের পিটুনিতে হাসপাতালে ভাবি

petaপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় দেবরের নিষ্টুর পিটুনিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভাবি। যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করে শ^াশুর বাড়ির লোকজন। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দেবর ও শ^াশুরি লাঠি দিয়ে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রবাসির স্ত্রীকে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুর্ব বাইম্যাখালী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত গৃহবধুর নাম শারমিন আক্তার কলি (২৩)। তিনি বাইম্যাখালী এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসি মুফিজুর রহমানের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওইদিন সকালে যৌতুক নিয়ে গৃহবধু শারমিনের সাথে তার শ^াশুরি ফাতেমা বেগমের মধ্যে কথা কাটা কাটি হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে ফাতেমা ও তার ছেলে ফরহাদ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে তারা শারমিনকে বাড়ির একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে শারমিনের বড় ভাই তারেকুল ইসলামসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা শারমিনকে জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার করেন। পরে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসক মনির উল্লাহ জানায় মেয়েটিকে নিষ্টুরভাবে পেটানো হয়েছে। শরীরে একাধিক জখম রয়েছে। টিএইচও মুজিবুর রহমান জানায় ভিকটিমকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আসলে তাকে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। শারমিন আক্তার কলি জানায় বিগত চার বছর আগে মুফিজের সাথে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্র সন্তান আছে। স্বামী শিলখালীর অপর এক মেয়েকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করে। গত তিন বছর ধরে স্বামী মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে। দেবর ও শ^াশুরি আমার কাছ থেকে প্রায় সময় যৌতুক দাবি করে আসছে। কয়েক দফা আমাকে মারধর করেছে। এনিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। একই সুত্র ধরে ঘটনার দিন মা-ছেলে মিলে আমাকে লাঠি দিয়ে নির্দয় পিটিয়ে আহত করে। শারমিনের বড় ভাই তারেকুল ইসলাম জানায় তারা অমানুষ। আমার বোনকে যৌতুকের জন্য বারবার নির্যাতন করেছে। এদিন মা-ছেলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ঘরে আটকিয়ে রাখে।

পাঠকের মতামত: