নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::
পেকুয়ায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ‘আরমান’ (২৭)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের টইটং বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে। টইটং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক মো.বাচ্চু, উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আজগর আলী, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম, যুবলীগ নেতা মনছুর, মহিউদ্দিন, হাছান, হাকিম আলী, আকতার, ছাত্রলীগ নেতা বাহাদুরসহ যুবলীগ নেতারা টইটং বাজারে ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে। পরে তারা ওই সন্ত্রাসীকে পেকুয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করে। আরমান উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের লালমিয়া পাড়ার মো.আইয়ুবের ছেলে। সম্প্রতি মগনামা ফুলতলা ষ্টেশনে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাবেক ছাত্রদল ক্যাডার আরমান সহ সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অনেকে। ওই ঘটনায় আফজলিয়া পাড়ার আমিনুল হকের ছেলে আব্দুল করিম বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৮/১৭। ওই মামলায় আরমান আসামি। আরমান মগনামার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী। গত কিছু দিন আগে মগনামা লঞ্চঘাট ষ্টেশনে পাউবোর বেঁড়িবাধ সংস্কার কাজে সাব-ঠিকাদারের কাছ থেকে চাঁদাদাবি করছিল। এনিয়ে তাকে ধাওয়া দেয় ফুলতলা ষ্টেশনে। গত কয়েক দিন আগে ফুলতলা ষ্টেশনের পুর্ব পার্শে সাংবাদিকদের প্রান নাশ চেষ্টা চালায় আরমানসহ অস্ত্রধারীরা। এ সময় তারা সাংবাদিকদের বহনকৃত সিএনজি সড়কে আটকায়। অস্ত্র ঠেকিয়ে সাংবাদিকেদের অপহরন চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশের সহযোগিতায় সংবাদকর্মীরা প্রানে রক্ষা পেয়েছে। পুলিশ আরমানকে হন্য হয়ে খোঁজছিলেন। স্থানীয়রা জানায় মাদাকাসক্ত যুবক। সে অস্ত্র ও ইয়াবা পাচারে জড়িত। উত্তর মগনামা, ফুলতলা ষ্টেশন কেন্দ্রিক অনেক অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে আরমান জড়িত। ওইদিন আরমান মোটর সাইকেল নিয়ে বাঁশখালীর দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে তার পিছু নেয়। এ সময় টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী গ্রাম পুলিশ পাঠায় টইটং বাজারে। যুবলীগের এসব নেতারা ও গ্রাম পুলিশের সমন্বয়ে টইটং বাজারে তাকে ধরে ফেলে। পেকুয়া থানার এসআই নাছির উদ্দিন, এএসআই সজীব পুলিশের নেতৃত্বে দেন। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান জানায় পুলিশ তাকে টইটং বাজার থেকে গ্রেফতার করে। অপরাধী যত ক্ষমতাধর হোক না কেন পুলিশ কাউকে ছাড় দেবেনা।
পাঠকের মতামত: