মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
শিলখালী ইউনিয়নের হেদায়তবাদ ময়ূর স্মৃতি রাস্তা মেরামতের জন্য চলতি অর্থ বৎসরের ১ম কিস্তিতে ২ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার প্রকল্প নং ১৫। গত এক মাস পূর্বে ওই ২টন খাদ্য শষ্যের ছাড়পত্র পেকুয়ার পিআইও অফিস থেকে উত্তোলনও করে নিয়েছেন কথিত প্রকল্প কমিটির লোকজন। আজ ১৭ ফেব্রে“য়ারী বেলা ১ টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত শিলখালী ইউনিয়নের হেদায়তবাদ পরিদর্শন করে কোথাও ময়ূর স্মৃতি রাস্তার অস্তিত্বের খোঁজ মিলেনি।
হেদায়তবাদ গ্রামের বৃদ্ধ আবুল কালাম, স্কুল ছাত্র জমির উদ্দিন, কৃষক মতিন উদ্দিন, রাজনৈতিক কর্মী মো. মিজান জানান, তাদের গ্রামে ময়ূর স্মৃতি নামের কোথাও রাস্তা নেই। খোদ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জানেনা ময়ূর স্মৃতি রাস্তার অবস্থান কোথায়। এদিকে ১৭ ফেব্রে“য়ারী এ প্রতিনিধি সাংবাদিক পরিচয় গোপন রেখে ছদ্মবেশে সরেজমিনে শিলখালীর হেদায়াত বাদ গ্রামে ওই প্রকল্পের খোঁজে গিয়ে ওই গ্রামের প্রায় শতাধিক লোকজনের সাথে কথা বলেও কেউ জানাতে পারেনি ‘হেদায়াতাবাদ রাস্তার সন্ধান’। স্থানীয়রা আশংকা করছেন, স্থানীয় কোন অসাধূ রাজনৈতিক নেতা ভূঁয়া টিআর প্রকল্প ও ভূঁয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি কাগজে-কলমে দেখিয়ে সরকারী ২ টন খাদ্য শষ্য লোপাট করেছেন। সরেজমিনেও প্রকল্পের কোন অস্তিত্ব না পাওয়ায় লোপাটের বিষয়টির সত্যতা মিলেছে।
সরেজমিন হেদায়াতাবাদ গ্রামে পরিদর্শন কালীন ফোন করা হয় পেকুয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশকে। এসময় পিআইও এ প্রতিনিধি জানান, এ নামের কোন প্রকল্প নেই! তবে তিনি অফিসের বাইরে রয়েছেন। অফিসে ফিরেই বরাদ্দের কাগজপত্র দেখে প্রকল্প কমিটির লোকজনের পরিচয় নিশ্চিত করে জানাবেন। তবে পরে পিআইও রহম্যজনক কারনে ওই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের পরিচয় জানায়নি।
কয়েকটি গোপনসূত্রে জানা গেছে, পেকুয়ার পিআইও সৌভ্রাত দাশ ওই ভূঁয়া প্রকল্প কমিটির সাথে আঁতাত করে প্রকল্পের সরকারী খাদ্য শষ্য কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়ে নিজেদের মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। তবে পিআইও ভাগবাটোয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইনও জানান, তার ইউনিয়নের হেদায়াতবাদ গ্রামের ময়ূর স্মৃতি রাস্তা নামের কোথাও সড়ক নেই। কারা বরাদ্দ নিয়ে লুটপাট করেছে সেটিও তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারছেনা।
পাঠকের মতামত: