ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে পড়েছে গ্রামীন যোগাযোগ ব্যবস্থা

সৈয়দুল কাদের, কক্সবাজারে :
ভারি বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি ঢল ও উপকূলীয় এলাকা জোয়ার ভাটা হওয়ার কারণে কক্সবাজারের গ্রামীন জনপথগুলো অচল হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন স্থানে রাস্তা বিলীন হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন গ্রামে বসবাসরত লোকজন। এ ছাড়াও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কয়েকটি রাস্তা পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতি বছর স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে গ্রামীন সড়কগুলো (কাঁচা-পাকা) নির্মাণ ও সংস্কার করে বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও তা কোন কাজেই আসছেনা। ভারি বৃষ্টিপাত হলেই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে এ সব সড়ক। গত ৩ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে অধিকাংশ সড়ক ভেঙ্গে পড়েছে।
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, এখন মাতারবাড়ির সাথে অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মাতারবাড়ির সংযোগ সড়কটি কয়েক দফা মেরামত করলেও জোয়ার-ভাটার কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে। গতকাল এটি মৌসুমের তৃতীয় দফা ভেঙ্গেছে। যার ফলে মাতারবাড়ির মানুষের দূর্ভোগের অন্ত নেই। মাতারবাড়ির সাথে নৌ-পথে ছাড়া অন্য কোন পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সবাইকে। রোগী যাতায়ত নিয়েও বেকায়দায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া মাতারবাড়ির প্রতিটি রাস্তা এখন অচল হয়ে পড়েছে।
ধলঘাটা আওয়ামী লীগের নেতা সেলিম রেজা জানিয়েছেন, জোয়ার ভাটা বন্ধ না হওয়ায় সড়কগুলো প্রতি বছর নির্মাণ
করতে হয়। মূল সমস্যা বেড়ীবাঁধ। স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মিত হলে প্রতি বছর গ্রামীন সড়ক সংস্কার খাতে অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। এই সপ্তাহে বেঁধে আসলে এর পরের সপ্তাহে ভেঙ্গে যায়। রাস্তার দু’পাশে গাইড ওয়াল না দিলে সামান্য বৃষ্টিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাস্তা।
রামু ঈদগড়ের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টু জানিয়েছেন, সম্প্রতি বন্যায় রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। যার অধিকাংশই ইতোমধ্যে মেরামত করা হয়েছিল, কিন্তু গত কয়েক দিনের বর্ষণে অধিকাংশ রাস্তা ভেঙ্গে গেছে।
কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইলের চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা বিকম জানিয়েছেন, বেড়ীবাঁধ না করে সড়ক নির্মাণের কোন কারণ নেই। এটি টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। বেড়ীবাঁধ নির্মানের জন্য জরুরী বরাদ্ধের টাকাগুলো ঠিকমত কাজ করলে অনেক সড়ক রক্ষা পেত।
কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর জানিয়েছেন, গত বছর যে সড়কগুলো নির্মাণ করা হয়েছে এখন এগুলোর কোন চিহ্ন নেই। তাই পরিকল্পিত ভাবে কাজ না করলে এমনই হবে। আমরা চাই আগে বেড়ীবাঁধ পরে রাস্তা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে এ সব রাস্তা প্রতি বছর মেরামত করতে হচ্ছে। তাই প্রতি বছর গ্রামীন সড়ক খাতে বিপুল টাকা অপচয় হচ্ছে। যার ফলে কোন ভাবেই স্বাভাবিক হচ্ছে না উপকূলীয় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।

পাঠকের মতামত: