ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটক বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি

coxsbazar-sea-beach-3_1কক্সবাজার রিপোর্ট :
ঈদের টানা ছুটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমনের সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এবার দেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে ৩ লাখ পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই আশায় কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউসগুলোকে সাজানো হচ্ছে নববধূর সাজে।
কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নয়দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে প্রায় তিন লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে। জেলা শহরে বর্তমানে বড়-ছোট মিলিয়ে তিনশত আবাসিক হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউস রয়েছে। আগত পর্যটকদের বরণ ও সর্বোচ্চ সেবা, আতিথেয়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।’
কক্সবাজার সৈকতের ঝিনুক ব্যবসায়ীদের নেতা জয়নাল সুফি চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘কয়েক লাখ পর্যটক ঈদ উপলক্ষে কক্সবাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে আমরা প্রচুর ঝিনুক সামগ্রী তৈরী করে মজুদ করেছি।’
এদিকে ঈদের ছুটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কক্সবাজার পৌরসভা, বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি, হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতি সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘এই ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে ব্যাপক পর্যটকের আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটক যতোদিন থাকে ততোদিন পর্যটন অঞ্চলে সার্বক্ষনিক দুইশত থেকে আড়াই শত পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। পর্যটকে টইটম্বুর থাকে এমন স্পটগুলো, যেমন ইনানী সৈকত, হিমছড়ি, কলাতলী, সুগন্ধা পয়েন্ট ও লাবনী পয়েন্ট সৈকতে ২৪ ঘন্টা পুলিশ দল মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়াও সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর, ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও হোটেল শৈবাল পয়েন্টে সকাল থেকে রাত ১০ পর্যন্ত পুলিশের টহল থাকবে। লাবনী পয়েন্টে সমুদ্রের নামার বিষয়ে মাইকযোগে পর্যটকদের মাঝে প্রচারনা চালনো হবে। পর্যটকদের সহযোগীতার জন্য ২৪ ঘন্টা একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু থাকবে।’
এাছাড়াও কলাতলীর দরিয়া নগর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরীণ ড্রাইভ সড়কে যাতে পর্যটকরা নিশ্চিন্তে ভ্রমন করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে গাড়ি ও মোটর সাইকেল নিয়ে পুলিশ টহলে থাকবে বলে জানান খন্দকার ফজলে রাব্বী।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মো: আলী হোসেন চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘পর্যটকদের ভ্রমন নির্বিঘœ ও আনন্দময় করতে ইতোমধ্যেই কক্সবাজার সৈকতে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবাঞ্চিত ও অপরাধীদের সৈকত এলাকায় বিচরণ বন্ধ করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত থাকবে। ইতোমধ্যেই সভা করে পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে এবং হয়রানি না করার জন্য হোটেল রেস্তোরা মালিকদের ব্রিফিং করা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক এই সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য গত (বৃহস্পতিবার ৩০ জুন) একটি বিশেষ সভাও যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ।

পাঠকের মতামত: