নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
হাসপাতালের বারান্দায় আর মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না রোগীদের। আর কোন রোগীকে মেঝেতে শুয়েও চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যেতে হবে না। একটি সিটের অভাবে বাধ্য হয়ে বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে কোন রোগিকে গুনতে হবে না হাজার হাজার টাকা। এখন একটি হাসপাতালের মাধ্যমে ছয় উপজেলার প্রত্যন্ত ও দূর্গম এলাকার মানুষের মধ্যে একটি সেতুবন্ধনও তৈরী হবে। নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে তাদের চিকিৎসা সেবা। চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যা থেকে ১শত শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এ হাসপাতালটির ৫টি নতুন ভবন। এই একটি হাসপাতালই পনেরো লাখ মানুষের স্বপ্ন পূরণ করবে। ঘুচে যাবে চিকিৎসেবায় দীর্ঘদিনের দুর্দশা।
সংশিষ্ট সুত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালটিতে চকরিয়া উপজেলার সাড়ে ৬ লাখ মানুষ ছাড়াও বান্দরবানের লামা, আলীকদম, কক্সবাজারের পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার লোকজনও চিকিৎসা নিতে আসেন। এসব উপজেলার লোকজনের যাতায়তের সুবিধার কারণে কোন রোগীর বিপদ মূহুর্তে আগে চকরিয়ায় নিয়ে আসেন। এতে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশী থাকে। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে সিটের অভাবে অনেক রোগীকে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। এমনকি মেঝেতে শুয়েও চিকিৎসা নিতে না পেরে অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হয়। এসব রোগীদের বেশীরভাগই বাধ্য হয়ে বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ওই বেসরকারী ক্লিনিক গুলোতে হাজার হাজার টাকা গুনেও সুচিকিৎসা পাওয়া যায়না। চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ জানান; এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ইনডোর এ দ্বিগুন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। আউট ডোরে ৪শ’ থেকে ৫শ’ রোগী চিকিৎসা নেয়। এখন সরকার চকরিয়া উপজেলা হাসতালটিকে ৫০ শয্যা থেকে ১শত শয্যায় উন্নীত করেছে। ইতোমধ্যে ‘মেক কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১শত শয্যার হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এ প্রকল্পটির অধীনে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১টি অত্যাধুনিক হাসপাতাল ভবন, ১টি তত্তাবধায়ক কোয়াটার, ১টি অফিসার্স কোয়াটার, ২টি স্টাফ ও নার্স ডরমেটরি নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণের দায়ীত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেক কনস্ট্রাকশন’র প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেছেন, ভবনগুলো ছাড়াও ড্রেন নির্মাণ, সড়ক নির্মাণ সহ আরও বেশ কিছু কাজ করতে হবে। গুণগত মান ঠিক রেখে এ প্রকল্পটির কাজ খুব দ্রুত শেষ করবো বলে আশা রাখছি। জাতীয় পার্টি কক্সবাজার জেলা সভাপতি, চকরিয়া উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপি বলেছেন, এ হাসতালটির মাধ্যমে চকরিয়া উপজেলার সাড়ে ৬লাখ মানুষ ছাড়াও পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও বান্দরবানের লামা আলীকদমের মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে। এ হাসপাতালটির মাধ্যমে এসব উপজেলার মানুষের মধ্যে একটি সেতুবন্ধনও তৈরী করবে।
প্রকাশ:
২০১৮-০৫-২০ ০৭:৩৭:৪৮
আপডেট:২০১৮-০৫-২০ ০৭:৩৭:৪৮
- চকরিয়ায় প্যারাবন নিধনের মামলায় আসামি নিরীহ মানুষ
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- চকরয়ার ঠিকাদার মিজান গ্রেফতার, কোটি টাকার ঋণের জেল-জরিমানার দায়ে
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২টি ডাম্পার ও স্কেভেটর জব্দ
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
- বাড়ি ফিরেছে কুতুবদিয়ার অপহৃত ১৯ জেলে
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- হারবাং ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
পাঠকের মতামত: