গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ :
জুলুম ও নির্যাতনের ভয়ে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা অসহায় রোহিঙ্গাদেরকে দেখতে এলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও বর্বরতার বর্নণা শুনে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।এরপর অসহায় রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন তোমাদের অবস্থা দেখতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। মিয়ানমারে পরিস্থিতি স্বভাবিক হলে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজারের টেকনাফ নিবন্ধিত নয়াপাড়া শরানার্থী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নেওয়া নতুন রোহিঙ্গাদের সার্বিক বিষয়ে খোজঁখবর নেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় নিয়ে এসে নিন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যেই টেকনাফে আড়াই হাজার একর জায়গা চিহ্নিত করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইতিমধ্যে কী পরিমাণ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও প্রায় তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে
এসেছে।এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামাল, উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক, নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্প ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন খানম প্রমূখ।
উল্লেখ্য শুক্রবার বিকালেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া’ কক্সবাজারের কুতুপালং, বালুখালীসহ তার আশেপাশের রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন করেছিল।
পাঠকের মতামত: