প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
নজরুল-আব্বাস উদ্দিন সেন্টার কক্সবাজার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। ২৫ মে শুক্রবার কক্সবাজারে দেশের প্রথম মেরিন ফিশ অ্যাকুরয়িাম রেষ্টেুরন্টে এ অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা ও ইফতার মাহফিল।
সেন্টারের সভাপতি এড. রমিজ আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য মো. শফিক মিয়া, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির সভাপতি মুহম্মদ নুরুল ইসলাম, ডা. শাহ আলম, কক্সবাজার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর কাশেম, অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন, এড. আকতার উদ্দিন হেলালী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক জি এ এম আশেক উল্লাহ।
অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পিটিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত সুপার মো. নাসিরউদ্দিন, ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা শামসুল হক শারেক, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. গোলাম ফারুক খান কায়ছার, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ ও দৈনিক সৈকতের নির্বাহী সম্পাদক আনছার হোসেন প্রমুখ।
আলেচনায় বক্তারা বলেন, কবি নজরুল সবসয় সাম্প্রতিক। সাম্যে, প্রেমে, দ্রোহে সাম্প্রতিক। তিনি সবসময় বাঙ্গালী জাতীর চেতনার কবি। বক্তারা উল্লেখ করেন ‘গাহি সাম্যের গান/ যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা ব্যবধান/ যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিস্টান’ এভাবেই গেয়ে উঠতেন সাম্যবাদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
বাংলা সাহিত্যে নজরুল ইসলাম জনপ্রিয় হয়েছেন কবিতা ও গানে। ব্রিটিশ শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে কবিতা ও গান লিখে বিদ্রোহী কবি হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন নজরুল ইসলাম। রচনা করেন ‘বিদ্রোহী’ ও ‘ভাঙ্গার গান’র মতো কবিতা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্রিটিশ সরকার কবিকে জেলে পাঠায়। সেখানে বসে কবি রচনা করেন ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’। বাংলা সাহিত্যে নজরুল ইসলামের আবির্ভাবকে ধুমকেতুর আত্মপ্রকাশ হিসেবেও দেখেন অনেকে। নজরুলের রচনাবলী বিশ্বের রাজনীতি, সমাজনীতিতে আজও সমভাবে প্রাসঙ্গিক। নজরুলের চর্চাই আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে শিখাবে।
পাঠকের মতামত: