প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
গণমাধ্যম এখন এক শ্রেনীর দুর্বৃত্তের নিয়ন্ত্রণে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর সভাপতি শওকত মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে সাংবাদিকদের কথা বলার অধিকার নেই। বিচারক তাদের স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারেনা। দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে গণমাধ্যম। এ কারণে সত্য কথা ওঠে আসেনা। অতি নতজানু নীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশীকে হত্যার সংবাদও প্রকাশ হয়না।
সঠিক সংবাদ পরিবেশনে উদাসীনতায় বাংলাদেশ ভয়াবহ অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ঘাপটে মেরে আছে ৫ম বাহিনী।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের দ্বি বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শওকত মাহমুদ কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেছেন, আমরা একটি বৈরি পরিবেশের মধ্যে বাস করছি। আজ দেশে কথা বলার কোনো পরিবেশ নেই, অর্থনৈতিক পরিবেশ নেই। এ দেশে এখন আমাদের বাঁচার অধিকার নেই। কথা বললে জিম্মি, গুম, খুন, জেল ও মামলার শিকার হতে হয়। আগে শুধু সাধারণ মানুষ গুম আর হত্যার শিকার হতো। এখন সাংবাদিকরাও গুম-হত্যার শিকার হচ্ছে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বলেন, বিগত ৯ বছরে ৩০ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছে। সম্প্রতি গুম করা হয় সাংবাদিক উৎপল দাশকে। হাজারো সাংবাদিককে করা হয়েছে চাকরিচ্যুত। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ গণমাধ্যম সরকারের পক্ষাবলম্বন করছে। এসব সাংবাদিকদের কাছে জনগণও অনিরাপদ।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাংবাদিক বান্ধব। তার আমলে কোন গণমাধ্যমই বন্ধ হয়নি। আজকের কক্সবাজার প্রেসক্লাব এর জমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ারই অবদান। বর্তমানে সাংবাদিকরাই সাংবাদিকদের শত্রু। মনে রাখতে হবে এমন পরিস্থিতি তাদেরও সম্মুখিন হতে হবে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ ও সহকারি মহাসচিব মোহাম্মদ শাহনওয়াজ।
বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বদিউল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক সৈকত সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা শামসুল হক শারেক, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সহ-সভাপতি জিএএম আশেক উল্লাহ, সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদ, মমতাজ উদ্দিন বাহারী, রুহুল কাদের বাবুল, এস এম জাফর, এম. আর মাহবুব, সায়েদ জালাল উদ্দিন, ইব্রাহিম খলিল মামুন, মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদ, ইমাম খাইর, আজাদ মনছুর প্রমুখ।
এর আগে সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ দ্বি বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলে ইউনিয়নের সদস্যরা প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন। কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাসিম আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন।
পাঠকের মতামত: