ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রয়োজন আর্থিক সহযোগীতা

তসলিমার হিপ জয়েন্ট নষ্ট ৬ বছর ধরে, বসবাস করছে এক খাটে

বার্তা পরিবেশক ::  পুরো নাম তসলিমা আক্তার। মাদ্রাসা থেকে অনার্স পাশ করে টানা ৬ বছর ধরে একটি খাটে শুয়ে আছেন। খাওয়া-দাওয়া মল-মূত্র যেন এই খাটেই। কখনো ঘরের রুমের বাইরে যেতে চাইলেও শরীরের অক্ষমতার কারণে বের হতে পারছেন না। ২০১৭ সালের চিকিৎসা করতে করতে এক পর্যায়ে ধরা পড়ে হিপ জয়েন্ট সমস্যা। কোমরের দুইটি জয়েন্টই নষ্ট হয়েছে। সেগুলো সচল করতে হলে প্রয়োজন অত্যাধুনিক প্রদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার। কোমরের এক পাশে অপারেশনে প্রয়োজন ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। দুইটি হিপ জয়েন্ট অপারেশনে প্রয়োজন প্রায় ৭ লাখ টাকা।
কক্সবাজার শহরের কাছাকাছি ইউনিয়ন খুরুশকুলের তৈতিয়া এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রহমানের মেয়ে তিনি। বাবা সরকারী তাফহিমুল কোরআন আল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করলেও দুই বছর আগে অবসর এসেছেন। ৫ ভাইয়ের ৫ বোন ও মা-বাবা মিলে ১২ জনের বড় পরিবার। তাদের মধ্যে ৪ বোনের বিয়ে হয়েছে আর ৫ ভাই সবাই তসলিমার ছোট। পুরো পরিবারটিতে উপার্জনের ক্ষমতা আর নেই বললেই চলে। দরিদ্র পরিবার হলেও পরিবারের সব সদস্যকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলেছেন পিতা আব্দুর রহমান।
তসলিমা জানান, ২০০৬ সাল থেকে কোমরের ব্যথা শুরু হয়। তখন কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খেতে খেতে এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের এমআরই পরীক্ষায় ধরা পড়ে তার হিপ জয়েন্ট সমস্যার কথা। জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল ও ঢাকার পিজি হাসপাতালের অর্থোপেটিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন দুই পাশের হিপ জয়েন্ট অপারেশনে তসলিমার প্রয়োজন ৭ লাখ টাকা। ২০০৬ থেকে তসলিমার পরিবার তাকে চিকিৎসা করতে করতে এক প্রকার অর্থনৈতিক ভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে। তসলিমার বাবা বৃদ্ধ আব্দুর রহমান সবার কাছে একটি অনুরোধ মেয়েকে উন্নত চিকিৎসায় আর্থিক ভাবে তাকে সহযোগীতার বাড়িয়ে দিতে। তাকে সহযোতীতা পাঠাতে-জনতা ব্যাংক কক্সবাজার শাখা-০০২১২৪০১৫ অথবা ০১৮৬২-৩৭৬৩২৫ বিকাশ পার্সেনাল নাম্বারে।

পাঠকের মতামত: