চকরিয়ায় তরুনলীগ মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানার যুগ্ন আহবায়ক ইমরুল হাসান মুফিজকে শায়েস্তা করতে তৎপর হয়েছেন কোনাখালী ইউপির সেই বির্তকিত চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার। শালিসি বৈঠকে চেয়ারম্যানের সাথে বাকবিতন্ডা হয় তরুনলীগ নেতার। এ সময় শালিসি বৈঠকে শতশত লোকজনের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান তাকে শাসিয়ে ধমকি দিয়ে বলেছেন বাড়াবাড়ি করবিনা। এর পরিনাম ভয়াবহ হবে। অস্ত্র দিয়ে পিছমুড়া বেঁধে সোজা পুলিশে দেব। বস্তাভর্তি অস্ত্র আছে আমার। তোর মত ছেলেকে শায়েস্তা করতে কেবলমাত্র একটি অস্ত্রের প্রয়োজন। খোদ চেয়ারম্যানের প্রকাশ্যে এহন আচরনে হতভম্ব হন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময় বটতলি বাজারে বাড়াবাড়ির এক পর্যায়ে শালিসি বৈঠকটি পন্ড হয়ে যায়। এদিকে তরুনলীগ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে পুলিশে সোপর্দের এ খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। গনমাধ্যম চেয়ারম্যানের ওই আচরনে ক্ষুব্ধ হয়ে তথ্য নির্ভর বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করে। কিন্তু বাধ সাধে ওই তরুনলীগ নেতার। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে কোনাখালী ইউপির চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার চরম রাগান্বিত হন। এক পর্যায়ে অধিক ক্ষিপ্ত হয়েছেন ওই চেয়ারম্যান। এ সময় চেয়ারম্যান হাকাবকা ও হুমকি অব্যহত রেখেছেন। এমনকি তরুনলীগ মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানার যুগ্ন আহবায়ক ও মৎস্য খামারি ইমরুল হাসান মুফিজকে শায়েস্তা করতে প্রস্তুতি নেন। তাকে ধরতে চেয়ারম্যান গত দু’দিনে দু’দফা দক্ষিন কোনাখালী বটতলি বাজারে যান। বাজারে গিয়ে প্রকাশ্যে হাকাবকাসহ গালিগালাজ করেন তরুনলীগ নেতাকে উদ্দেশ্যে করে। তাকে যেকোন উপায়ে শায়েস্তা করতে হবে এ মানসিকতায় চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার তার অনুগত ক্যাডার বাহিনীকে দিয়ে হন্য হয়ে খুঁজছে তরুনলীগ নেতাকে। কোনাখালী ইউনিয়নে দিদারুল হক সিকদার নির্ভয়ে অপকর্ম চালিয়ে যেতে গঠন করেছেন প্রত্যেক ওয়ার্ড়ে ১১জনকে নিয়ে একটি করে কমিটি। ওরা ১১জন নামে কোনাখালীতে এ কমিটি পরিচিত। ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ড়ে ওরা ১১জন কমিটির সদস্যরা রয়েছেন। এরা সন্ত্রাসী ও পেশি শক্তির সমন্বয়ে এ কমিটির মাধ্যমে সমস্ত কোনাখালীতে দিদারুল হক সিকদার পরিচালিত করছেন নিজ অপকর্ম। দিদারুল হক সিকদারের লেলিয়ে দেয়া ওরা ১১জনের ভয়ে দেশান্তর হওয়ার উপক্রম হয়েছে ওই তরুনলীগ নেতার। বর্তমানে চেয়ারম্যানের কারনে তিনি কিংকর্তব্য বিমুঢ হয়ে পড়েছেন। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানায় কোনাখালীতে ওই কমিটি সর্বাধিক প্রভাবশালী। ৫নং ওয়ার্ড়ের ওরা ১১জন কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেক। সেক্রেটারী করা হয়েছে মৌ.আনিছকে। একই ভাবে ৬নং ওয়ার্ড়ে সভাপতি বাবুল ও সেক্রেটারী আজিজ। এভাবে প্রত্যেক ওয়ার্ড়ে ওরা ১১জন কমিটি কোনাখালীতে বিস্তৃত আছে। এ ব্যাপারে তরুনলীগ যুগ্ন আহবায়ক মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানার ইমরুল হাসান মুফিজ জানায় অস্ত্রদিয়ে জেলে পাঠানোর প্রকাশ্যে হুমকি দেয় আমাকে। এরপর পত্রিকায় নিউজ হয়। এরপর থেকে চেয়ারম্যান দিদার ও তার অনুগত বাহিনী ওরা ১১জন নামের কমিটির লোকজন আমাকে প্রকাশে হাকাবকা করছে। প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। চেয়ারম্যান দু’বার বটতলি বাজারে আমাকে ধরতে আসে। প্রকাশ্যে হাকাবকা করছে চেয়ারম্যান। আমি চরম নিরাপত্তাহীন। প্রতিটি ওয়ার্ড়ে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ওরা ১১জন নামে কমিটি আছে। ওরা সবাই সন্ত্রাসী। কোনাখালী ইউপির চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার এর ০১৭১০-৮১৯৯৭৭ নং মুঠোফোনে সন্ধ্যা ৭.৪৫মিনিটে যোগাযোগ করা হয়। ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি
#############
পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৮
পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত ৮জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। (২৮সেপ্টম্বর) দিবাগত রাতে পৃথক অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের জালাল আহমদের ছেলে আকবর আহমদ, পেকুয়ারচর এলাকার আলী হোসেনের ছেলে শাহ আলম, ঠান্ডারপাড়া এলাকার শাহাব উদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল হক, মৃত কবির আহমদের ছেলে হাসান শরীফ, গুরাঘোনা এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে আবুল শামা, আতঁর আলী পাড়ার মৃত.এজাহার মিয়ার ছেলে জাকের হোসেন, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাশিয়াখালী এলাকার আবুল কালাম ও টইটং ইউনিয়নের বনকানন এলাকার মৃত.বদিউল আলমের ছেলে লিয়াকত আলী। পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানায় পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার তাদের আদালতে সোর্পদ করার হয়েছে।
পাঠকের মতামত: